মো. সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি:
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে নীলফামারীর ডিমলায় বিজয় র্যালি ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে ডিমলা ইসলামিয়া কলেজ মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য র্যালিটি বের হয়ে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিজয় চত্বরে গিয়ে এক সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী-০১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা অধ্যাপক রইসুল আলম চৌধুরী।
এছাড়া বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানী, সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফ উল ইসলাম লিটনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন। তারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অবিচল। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার হামলা-মামলা, নির্যাতন, গুম-খুনেও বিএনপিকে দমন করা যায়নি—বরং বিএনপি আরও শক্তিশালী হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়েই দেশের মানুষ মুক্তি পাবে দুঃশাসন থেকে।”
বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের অনুপ্রেরণা। বর্তমান সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।”
জেলা বিএনপির উপদেষ্টা অধ্যাপক রইসুল আলম চৌধুরী বলেন, “আজকের তরুণ প্রজন্মকে বুঝতে হবে—গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার রক্ষায় বিএনপির সংগ্রাম কোনো ব্যক্তি বা দলের জন্য নয়, এটা দেশের ভবিষ্যতের জন্য।”
ডিমলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি
অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন বলেন, “ডিমলা উপজেলা বিএনপি আগেও মাঠে ছিল, এখনো আছে, আগামীতেও থাকবে। আমরা গণআন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে বিদায় করতে বদ্ধপরিকর।”
ডিমলা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক
বদিউজ্জামান রানা বলেন, “ডিমলার মানুষ অন্যায়ের প্রতিবাদে কখনো পিছিয়ে থাকেনি। আজকের বিজয় র্যালি প্রমাণ করে বিএনপির নেতৃত্বে জনগণ আবারও জেগে উঠেছে।”
এদিকে, র্যালি ও সমাবেশে দলীয় নেতাকর্মীদের বিপুল উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করা যায়। এসময় নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন ও জাতীয়তাবাদী স্লোগানে মুখর করে তোলে পুরো উপজেলা সদরের রাজপথ।