৬ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১২ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি

স্বাধীনতা রক্ষার্থে তরুণদের বাধ্যতামুলক সামরিক প্রশিক্ষণ দিতে হবে : মাহমুদুর রহমান

মনিরুজ্জামান তুহিন, ইবি প্রতিনিধি:

আসন্ন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘ভারত আমাদের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী কারণ তাদের পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। যদি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যদি রক্ষা করতে হয় তাহলে তরুণদের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ দিতে হবে। বহির্বিশ্বের হুমকি মোকাবিলার জন্য প্রশিক্ষিত তরুণরাই যথেষ্ট।’

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে জুলাই বিপ্লব বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত জুলাই বিপ্লব প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘সাধারণত সরকারি প্রোগ্রামকে প্রধান্য দিই না বরং আমি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রামকে অগ্রাধিকার দিই। কারণ তরুণদের কথা শুনতে চাই। যেহেতু ছাত্রদের নেতৃত্বে হয়েছে। তবে ভারতীয় দালাল চক্র ছাড়া এই বিপ্লবে সকল ছাত্র জনতার অংশগ্রহণ করেছে।’

দেশের দুইটি থ্রেট বা বিপদের কথা বলবো—যা দুই দিক থেকে আসবে বিপদ। প্রথমত, আভ্যন্তরীণ বিপদ। বলতে গেলে ‘র’ কিংবা ভারতের দালালদের মুখোশ উন্মোচন না করলে বিপ্লব দীর্ঘজীবী হবে না।

আরেকটা বিপদ হচ্ছে এক্সটার্নাল থ্রেট— যা আমার দেশের রাষ্ট্রীয় সীমানা নিয়ে। যেহেতু আমাদের দেশের চারপাশে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে হিন্দু বা বৌদ্ধিস্ট রাষ্ট্র। সুতরাং মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে সজাগ থাকতে হবে। অন্যদিকে সামরিক শাসনের দিক থেকে আমরা অনেকাংশই দুর্বল।

আগামী সরকারের প্রতি তিনি বলেন, এই সরকারের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। সম্ভবত ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন। আগামীতে যারা সরকার গঠন করবে তাদের প্রতি পরামর্শ দিব— বাংলাদেশের তরুণদের কম্পলচারি মিলিটারি ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে দেশ বৈদেশিক আগ্রাসনের পথ থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।

সর্বশেষ তিনি জুলাই বিপ্লবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তরুণদের প্রশংসা করে বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবীদের সাথে ভালো আচরণ করুন। তাদের সম্মান করতে শিখুন। ভারতীয় এজেন্ডার বিরুদ্ধে ও ইসলামের প্রশ্নে বাংলাদেশের তরুণদের দৃঢ়তা আমাকে মুগ্ধ করে।’

উল্লেখ্য বর্ষপূর্তি উদযাপনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী এবং শিক্ষার্থীরা। ৩৬ জুলাইয়ের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আনন্দ র‍্যালি-সহ জুলাই স্মৃতিকথা মোড়ক উন্মোচন ও জুলাই স্মৃতি সংগ্রহশালা উদ্বোধন করা হয়।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top