নিজস্ব প্রতিনিধি:
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পাঁচ শীর্ষ নেতাকে দলীয় অনুমতি ছাড়াই কক্সবাজার সফরের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার দলের যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দীন সিফাত স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ‘৫ আগস্ট জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে আপনি ও দলের আরও চার কেন্দ্রীয় নেতা ব্যক্তিগত সফরে কক্সবাজার গিয়েছেন। এই সফর সম্পর্কে রাজনৈতিক পর্ষদকে আগে থেকে অবহিত করা হয়নি।’ নেতাদেরকে আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের কাছে স্বশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকায় লাখো জনতার সমাবেশে যোগ না দিয়ে এনসিপির পাঁচ নেতা কক্সবাজার যান। এদের মধ্যে রয়েছেন দলের মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। এ সময় জারার স্বামী খালেদ সাইফুল্লাহ এবং আলমের স্ত্রীও তাদের সঙ্গে ছিলেন।
রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন রয়েছে, নেতারা কক্সবাজারে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। পিটার হাস বর্তমানে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির কৌশলগত উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত।
এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, নেতারা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে (ইএ-৪৩৩) কক্সবাজার গিয়েছিলেন। বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় কয়েকজন নেতা মাস্ক পরিধান করেছিলেন বলে জানা গেছে।
এনসিপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্রের অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ায় নেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ তবে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নেতাদের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, পিটার হাস ঢাকায় কর্মকালে হাসিনা সরকারের গুম-খুন ও ভোট কারচুপির বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন। তার সমালোচনায় আওয়ামী লীগের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল।