নিজস্ব প্রতিনিধি:
প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগ নেতা ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে তিনি এ দাবি তুলে ধরে বলেন, “৩ আগস্ট রাতে ২০ রাউন্ড গুলি নিয়ে বের হয়েছিলেন ব্যারিস্টার সুমন! হাসি-তামাশা করে বলছিলেন, ছাত্ররা আটকালে ২০ রাউন্ড আছে। এই বাটপারের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”
গত বছরের অক্টোবরে রাজধানীর মিরপুর ৬ নম্বর এলাকা থেকে সুমনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর সুমন তার বোনের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মিরপুর ও আদাবর থানায় দুটি হত্যা মামলা চলমান রয়েছে।
২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর যুবদল নেতা হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টার মামলার শুনানিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী সুমন সম্পর্কে বলেন, “ব্যারিস্টার সুমন প্রতারণার মাধ্যমে কাজ করে থাকেন। তিনি সংসদে নিজেকে সেলফি এমপি দাবি করতেন। সবচেয়ে বেশি টাকার গাড়ি আমদানি করলেও চালাতে পারতেন না। ফেসবুকে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করে প্রতারণা করতেন।”
প্রসিকিউটর আরও অভিযোগ করেন, সুমন নিজের লোকজন দিয়ে আগে থেকে সমস্যা তৈরি করে রাখতেন এবং ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়েছিলেন। এই মামলাগুলোতে সুমনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো তদন্তাধীন রয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া চলমান বলে জানা গেছে।
ইলিয়াস হোসেনের এই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেক ব্যবহারকারী সুমনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবিতে তার পোস্টে সমর্থন জানিয়েছেন। অন্যদিকে, সুমনের সমর্থকরা এসব অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, সুমনের বিরুদ্ধে আনীত মামলাগুলোতে তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুততর করা হয়েছে। আদালতের রায়ের অপেক্ষায় থাকা এই মামলাগুলোতে কী ধরনের শাস্তি হয়, তা এখন দেখার বিষয় বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।