মোহাম্মদ নয়ন, তজুমদ্দিন ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা বাক প্রতিবন্ধী হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচারের দাবিতে (৮ আগষ্ট) বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন তজুমদ্দিন উপজেলার সর্বসাধারণ জনগণ। সম্ভুপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার থেকে দক্ষিণ খাসের বাজারে মিছিল নিয়ে খাসের হাট বাজারের চোরাস্তায় মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
বিক্ষোভে আমার ভাইয়ের রক্ত লাল খুনি কোন চ্যাটের বাল, ‘ আমার ভাই কবরে খুনি কেন বাহিরে’ কবির ভাই হত্যা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, কবির হত্যার বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
মানববন্ধনে সাধারণ জনতা জানান কবির হত্যার ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন এখনও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি—এটা প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা। কবির বাক প্রতিবন্ধী সে কখনো কারো সাথে খারাপ আচরণ করেনি , অথচ তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে রাখা হয়েছে। আমরা দ্রুত বিচার দাবি করছি।’
মানববন্ধকারীরা আরো বলেন, একজন বাক প্রতিবন্ধী হত্যার ৩ দিন পর তার লাশ পুকুরে পাওয়া যায়। সে নিখোঁজ হওয়ার পর তজুমদ্দিন থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে থানায় কোন ডায়েরি নেননি এবং প্রশাসন কোনো অন্তর্বর্তী পদক্ষেপ নিতে পারেনি এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। একজন প্রতিবন্ধী (বোবা) যদি নিরাপদ না থাকে, তবে আমরা জনগন কোথায় যাবো ?
কবিরকে গুমের পর হত্যা করা হলেও সাধারণ মৃত্যু বলে প্রশাসন শুধু টালবাহানা করছে । আমরা দ্রুত বিচার চাই এবং হত্যার সঙ্গে জড়িত সকলের কঠোর শাস্তি দাবি করছি। তা না হলে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।’
মানববন্ধনে আজাদ রাসেল বলেন, কবিরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কোনো মানুষ এভাবে প্রাণ না হারায়। প্রশাসন যদি সুষ্ঠু তদন্তে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমাদের আন্দোলন আরও জোরদার হবে।
উল্লেখ্য, গত ১ আগষ্ট সম্ভুপুর ৭ নং ওয়ার্ড থেকে কবিরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কবিরকে হত্যার পর পানিতে ফেলে রাখা হয়েছে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
মানব বন্ধনে কবির হত্যার বিচারের দাবীতে চার দফা দাবী ঘোষণা করা হয়। ১, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে কবির হত্যার অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। ২,যারা এই বিষয়ে প্রতক্ষ ও পরোক্ষভাবে জরিত তাদের বিচার করতে হবে। ৩,কবিরের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।৪,প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়ার সঠিক কারন তদন্ত করে বের করতে হবে