১২ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৮ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি

পটুয়াখালী ভার্সিটির দু‘কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

দুমকি ও পবিপ্রবি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের, লোন শাখার দু‘কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর লোন গৃহীতাকে ভূঁয়া রশিদে কিস্তির টাকা নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবে জমা না করে প্রায় ২কোটি ৬০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পেনশন সেলের উপ-পরিচালক মো: রাজিব মিয়া ও একই শাখায় কর্মরত ল্যাব এ্যাটেন্ডেন্ট আবু ছালেহ মো, ইছা, জালিয়াতি মাধ্যমে ব্যাংকের ভূঁয়া জমা শ্লীপ দিতে মোটর সাইকেল ও কম্পিউটার ক্রয় লোন গ্রহিতা শতাধিক কর্মচারির কিস্তির টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

হিসাব শাখা সূত্রে জানাযায়, ২০১১ সাল থেকে পবিপ্রবি‘র শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী জিপিএফ‘র ১০% কর্তণের তহবিল থেকে রূপালী ব্যাংক পবিপ্রবি শাখার ৮৩০৫ চলতি হিসাব থেকে মোটরসাইকেল ও কম্পিউটার ক্রয় লোন চালু করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ উক্ত তহবিল থেকে লোন নিয়ে মোটরসাইকেল, কম্পিউটার ক্রয় করেন এবং শর্তানুসারে নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করেন।

কেউ কেউ আবার লোন পরিশোধ করে পুনরায় টাকা বাড়িয়ে হালনাগাদ করে নেন। কিন্ত ওই শাখার দায়িত্বরত কর্মকর্তা পেনশন বিভাগের উপ- পরিচালক রাজিব মিয়া ও ল্যাব এটেন্ডেন্ট পদে দায়িত্বরত আবু সালেহ মো: ইছা শতাধিক লোন গ্রহিতা কর্মকর্তা কর্মচারিকে ভূঁয়া ভাউচার স্লিপে লোনের কিস্তি নিয়ে ব্যাংকে জমা না করে মেরে দেন। সম্প্রতি আভ্যন্তরীণ অডিট সেলের কাছে লোন ফান্ডের হিসাবের গরমিলের তথ্য ফাঁস হলে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদ্বয় নিজেদের ভুল স্বীকার করে ৩২লাখ টাকা জমাও দিয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, উপ-রেজিস্টার প্লানিং মোঃ খাইরুল বাসার মিয়া (নাসির) ১লাখ ৯৫হাজার টাকা, পরিবহন শাখার সেকশন অফিসার সবুর খান ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা, পরিবহন শাখার কিচেন হেলপার আবু জাফর শিকদার সারে ৬ ছয় লক্ষ টাকা, ফটো মেশিন অপারেটর শামীম খান ৩ লক্ষ টাকা, ফরিদা বেগম ঝাড়ুদার অডিটসেল ২লাখ টাকা, অ্যাম্বুলেন্স চালক আলমগীর হোসেন আলম ৭৬,৭২৪ টাকা, মাসুদ অফিস সহায়ক বাজেট শাখা ৩ লক্ষ টাকা এভাবে শতাধিক কর্মকতা কর্মচারির লোনের কিস্তি পরিশোধের ভূয়া রশিদে ২কোটি ৬০লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

অভিযুক্ত আবুসালেহ মো: ইছা এটিকে আত্মসাৎ বলতে নারাজ, তার বক্তব্য-হিসেবের গরমিল হয়েছে। যা শীঘ্রই সেরে ফেলা হবে। কোন লোন গ্রহিতার টাকা যাবে না। অপর অভিযুক্ত মো: রাজিব মিয়াকে তার দপ্তরে গিয়ে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব শাখার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো: জসিম উদ্দিন বলেন, আর্থিক হিসাবে অসামাঞ্জস্য পরিলক্ষিত হওয়ায় ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা, খতিয়ে দেখছেন। তবে অভিযুক্তরা নিজেদের ভুল স্বীকার ও ইতোমধ্যে ৩২লাখ টাকা ব্যাংক হিসেবে জমাও দিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার অধ্যাপক ইখতেক্ষার আহম্মেদ এর বক্তব্য জানতে তার দপ্তরে গেলে তিনি কোন মন্তব্য না করে কৌশলে এড়িয়ে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তদের কাছ থেকে টাকাগুলো উদ্ধারের একটি কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। আগে টাকাগুলো উদ্ধার পরে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।।# জাকির হোসেন হাওলাদার সাংবাদিক দুমকি পটুয়াখালী।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top