নিজস্ব প্রতিনিধি:
মিশরীয় ফুটবল তারকা মোহামেদ সালাহ সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত হচ্ছেন ফিলিস্তিনি ফুটবলার সুলেইমান আল-ওবেইদের মৃত্যু নিয়ে তার সাহসী প্রতিক্রিয়ার জন্য। ‘প্যালেস্টাইনি পেলে’ নামে পরিচিত ৪১ বছর বয়সী আল-ওবেইদ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়ার পর ইউরোপীয় ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফার একটি বিবৃতিতে সালাহ সরাসরি প্রশ্ন তোলেন।
উয়েফা আল-ওবেইদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করলেও মৃত্যুর কারণ উল্লেখ না করায় সালাহ এক্স (পূর্বে টুইটার) প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, “আপনি কি আমাদের বলতে পারেন, সে কিভাবে মারা গেছে, কোথায়, এবং কেন?” এই পোস্টটি মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ৬১ মিলিয়নের বেশি ভিউ পেয়ে যায় এবং হাজারো ব্যবহারকারীর সমর্থন লাভ করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীরা সালাহর এই সাহসী অবস্থানের জন্য তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “সালাহ আজ ব্যালন ডি’অরের আশা ত্যাগ করলেন, কিন্তু মহানভাবে। ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন।” অন্য একজন মন্তব্য করেন, “তার প্রতি আমার সম্মান শতগুণ বেড়ে গেছে। তিনি সেই ফুটবলারদের মতো নন যারা স্পনসরশিপ হারানোর ভয়ে নীরব থাকেন।”
এটি সালাহর প্রথমবার নয় যে তিনি ফিলিস্তিন ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার হয়েছেন। ২০২৩ সালে তিনি গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং নিরপরাধ প্রাণহানি বন্ধের জন্য বিশ্ব নেতাদের একত্রিত হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। সালাহ ছাড়াও ইব্রাহিমা কোনাতে, পল পগবা এবং সন হিউং-মিনের মতো ফুটবল তারকারা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে তাদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরেছেন।
ফুটবল বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সালাহর এই অবস্থান তাকে ব্যালন ডি’অর জয়ের প্রতিযোগিতায় রাজনৈতিক কারণে পিছিয়ে দিতে পারে, তবে এটি বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার আন্দোলনকারীদের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলমান আলোচনায় সালাহর এই সাহসী ভূমিকা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি পুনরায় সামনে এনেছে।