জাকির হোসেন হাওলাদার, দুমকি উপজেলা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী জেলার দুমকি ও বাউফলের বগা -গরবদী ফেরিঘাটের লিজ বাতিল সংক্রান্ত একটি সরকারি আদেশ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কেন এ আদেশকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আয়নুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ৩০ জুলাই এই আদেশ দেন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, পটুয়াখালীর পুরান বাজার এলাকার এমএস দাস অ্যান্ড ব্রাদার্স শিবুলাল দাস নামের একটি প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত তিন বছরের জন্য বগা ফেরিঘাটের লিজ নেয়।
কিন্তু গত ১৭ জুলাই সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি অফিস আদেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির লিজ বাতিল করা হয় এবং ২৪ জুলাই থেকে ঘাটটি অন্য এক পক্ষকে বুঝিয়ে দিতে বলা হয়।
রিট আবেদনকারীর অভিযোগ, তাদের কোনো ধরনের কারণ দর্শানোর সুযোগ না দিয়েই লিজ বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের জমা দেওয়া নিরাপত্তা জামানতের ৭৪ লাখ ১৭ হাজার ৪১৬ টাকা থেকে ১১ লাখ ১২ হাজার ৫৮৪ টাকা কেটে রাখা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও কর্তৃত্ববহির্ভূত।
আদালত আদেশে বলেন, প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে, আবেদনকারী শিবু লাল দাস প্রতিষ্ঠানের লিজ বাতিলের সিদ্ধান্ত যথাযথ আইন ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে হয়নি। তাই আদালত চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সাতজন সরকারি কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।
এ ছাড়া মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বগা ফেরিঘাটে রিট আবেদনকারীকে টোল আদায়ের মাধ্যমে ফেরিঘাট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং নতুন করে ঘাট হস্তান্তরের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মুজাহিদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. গোলাম রহমান ভূঁইয়া, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল রুহুল আমিন সিকদার, রাশেদুল হক ও মাহবুবা আক্তার রলি।
আদালতের এই আদেশে বলা হয়েছে, নিয়ম মেনে নোটিশ না দিয়ে এভাবে লিজ বাতিল করা ও নিরাপত্তা জামানতের অর্থ কেটে নেওয়া আইনসম্মত নয় বলেই প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। তাই বিষয়টি সম্পূর্ণ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আগের অবস্থায় ফেরিঘাট পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চর গরবদী -বগা ফেরির, ঘাট সুপার ভাইজার মোস্তাফিজুর রহমান এবং এনামুল হক জানান,পটুয়াখালী জেলার – দুমকি
-বাউফল লোহালিয়ার বগা- চরগরবদি ফেরিতে দৈনিক আয় হচ্ছে ২০ হাজার টাকা। আর ব্যয় হচ্ছে ২২ হাজার টাকা। কিন্তু কি করবো কতৃপক্ষের নির্দেশ চালাচ্ছি। ফেরি চালক মালেক জানান,প্রতিদিন ১২ টু ১২ পর্যন্ত ২০০ শ লিটার তেল লাগে।
এ বিষয়ে এম,এস,দাস এণ্ড ব্রাদার্স শিবু লাল দাস বলেন,২০২৩ সালে ইজারামুল্য ৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকায় ইজারার কার্যাদেশ দেন পটুয়াখালী সওজ জনপথ বিভাগ। হাইকোর্টের আদেশ দিলে নানা অজুহাতে ফেরিঘাট বুঝিয়ে দিচ্ছেন না পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জামিল আক্তার বলেন, হাইকোর্টের আদেশের হার্ট কপি পাইনি। কিন্তু আদেশের একটি কপি পেয়েছি।