১৪ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২০শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

পবিপ্রবির শিক্ষক ড. সাইফুলের মন্তব্যে ৫ অধ্যাপকের প্রতিবাদ

মোঃ ফাহিম,পবিপ্রবি প্রতিনিধি :

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) শিক্ষক ড. এবিএম সাইফুলের বিতর্কিত মন্তব্যে প্রতিবাদ জানিয়েছে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ অধ্যাপক এবং বিএনপিপন্থী শিক্ষকের পদত্যাগ শিরোনামে প্রকাশিত কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদকে “সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর” হিসেবে অভিহিত করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

১২ আগস্ট ২০২৫ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় গত ৯ আগস্ট ২০২৫ তারিখে পবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির নিউজ কমেন্ট বক্সে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং ইউট্যাপ পবিপ্রবি ইউনিটের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. এবিএম সাইফুল ইসলাম ৫ জন শিক্ষককে গুপ্ত জামাতপন্থী শিক্ষক হিসেবে আখ্যায়িত করায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষবৃন্দরা।

প্রতিবাদকারি শিক্ষকেরা হলেন পরিবেশ বিজ্ঞান এবং ব্যবস্থাপনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: মহসীন হোসেন খান, সৃজনী বিদ্যানিকেতনের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.মো: আসাদুজ্জামান, শারিরীক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: আবু ইউসুফ,কবি বেগম সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো: মেহেদী হাসান সিকদার এবং বরিশাল ক্যাম্পাসের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো: আলী আজগর।এর প্রেক্ষিতে তারা বলেন, শিক্ষক বৃন্দকে গুপ্ত জামাতপন্থী বলা মানহানি কর এবং এ ধরনের মন্তব্য করার অধিকার তিনি রাখেন না।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, উক্ত সংবাদে যেভাবে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে বিভ্রান্তিকর, অসত্য এবং প্রকৃত ঘটনার সম্পূর্ণ অপপ্রচার। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম, প্রশাসনিক ধারা ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জনমনে ভুল ধারণা সৃষ্টির অপচেষ্টা পরিলক্ষিত হয়।

এদিকে তার আচরণবিধি ও স্বেচ্ছাচারিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। একাডেমিক কাজে মনোনিবেশের পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতি হতে শুরু করে প্রশাসনিক চেয়ার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চান একাই। অনুসন্ধানে জানা যায়, আগের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর থেকে এ পদ ভাগিয়ে নেওয়ার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করে গেছেন এবিএম সাইফুল।

উল্লেখ্য, গত ৪ঠা আগস্ট রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো: ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে প্রফেসর ড. মো: সুজাহাঙ্গির কবির সরকারকে ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা করলে এতে আরো সহিংস হয়ে উঠেন সহযোগী অধ্যাপক এবিএম সাইফুল।

প্রশাসন জামাতিকরণ করা হচ্ছে বলে দাবি তুলে গত ৬ই আগস্ট পদত্যাগ করেন ছাত্র বিষয়ক উপ-উপদেষ্টার পদ থেকে।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top