মো. সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নীলফামারীতে নির্বাচনী উত্তাপ ক্রমেই বাড়ছে। এরই মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলার চারটি আসনেই নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত এসব প্রার্থী ইতোমধ্যেই মাঠে সক্রিয় হয়েছেন।
ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন—নীলফামারী-০১ আসনে (ডোমার-ডিমলা) মাওলানা আব্দুল জলিল, নীলফামারী-০২ আসনে (সদর) এ্যাডভোকেট হাফেজ মাওলানা এম হাছিবুল ইসলাম, নীলফামারী-০৩ আসনে (জলঢাকা) আমজাদ হোসেন সরকার, নীলফামারী-০৪ আসনে (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম।
দলীয় সূত্র জানায়, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে দেশে “সৎ ও কল্যাণমুখী রাজনীতি”র পতাকা বহন করে আসছে। এ ধারাবাহিকতায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের আস্থা অর্জন ও ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে যোগ্য, শিক্ষিত ও নীতিনিষ্ঠ প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে দলটি।
নীলফামারী জেলা ইসলামী আন্দোলনের একাধিক নেতৃবৃন্দ জানান, প্রতিটি আসনেই প্রার্থীরা স্থানীয়ভাবে পরিচিত, সামাজিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় এবং ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধে অনুগত। তারা নির্বাচনী প্রচারণায় জনগণের মৌলিক অধিকার, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন, এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি তুলে ধরবেন।
দলীয় নেতাদের মতে, মূলধারার রাজনীতিতে অর্থ ও ক্ষমতার প্রভাব প্রতিহত করে জনগণের কাছে বিকল্প হিসেবে ইসলামী আন্দোলন নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে চায়। এ জন্য তৃণমূল পর্যায় থেকে গণসংযোগ, উঠান বৈঠক এবং ধর্মীয়-সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে ভোটারদের কাছে পৌঁছানো হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নীলফামারীতে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীদের সরাসরি বিজয়ের সম্ভাবনা যতটা না বেশি, তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও ভোটের বিভাজনে প্রভাব। বিশেষত, গ্রামীণ ও ধর্মীয় ভোটব্যাংকে তারা কিছুটা হলেও অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হতে পারে।
আসন্ন নির্বাচনে চার আসনে দলটির প্রার্থীদের অংশগ্রহণ নীলফামারীর সামগ্রিক ভোটের সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে।