ইমতিয়াজ উদ্দিন, জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারডিসিপ্লিনারি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কনসোর্টিয়াম (আইআরডিসি)-এর উদ্যোগে ১৩ আগস্ট ২০২৫, বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ সাজিদ অ্যাকাডেমিক ভবনের নিচতলায় শিক্ষক লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ইফেকটিভ টিচিং: ডিকোলোনাইজিং টিচিং পেডাগোজি অ্যাট ইউনিভার্সিটি সেটিং’ শীর্ষক এক একাডেমিক সেমিনার।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কানাডার রেজিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Regina) সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যকর শিক্ষাদান ও শিক্ষার বিউপনিবেশীকরণ প্রসঙ্গে বলেন, “উচ্চশিক্ষায় উপনিবেশিক জ্ঞানকাঠামো এবং উন্নত বিশ্বের ভাষা ও পদ্ধতির একচেটিয়া প্রভাব চ্যালেঞ্জ করতে হবে। এ জন্য পাঠ্যক্রমে স্থানীয় ও বৈশ্বিক জ্ঞান অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। পাশাপাশি শিক্ষা হতে হবে সমতাভিত্তিক, অংশগ্রহণমূলক ও প্রাসঙ্গিক; শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে সংলাপভিত্তিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।”
শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তাশক্তি বিকাশে সহায়ক শিক্ষাপদ্ধতি গ্রহণের ওপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন যাতে তারা নিজস্ব সাংস্কৃতিক পরিচয় ও ইতিহাস স্বাধীনভাবে অন্বেষণ করতে পারে।
প্যানেল আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. আবু লায়েক শিক্ষার্থীদের চিন্তার স্বাধীনতা দেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, “লেকচারভিত্তিক শিক্ষার পাশাপাশি গ্রুপ স্টাডি পদ্ধতিকে উৎসাহিত করলে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।”
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আইআরডিসি সভাপতি ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও আইআরডিসি সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক।
বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও গবেষকদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এ সেমিনার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ও আলোচনা শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। বক্তারা শিক্ষার বিউপনিবেশীকরণকে মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়সংগত শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।