নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুর একটি স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তার স্ত্রী কাজী আনিশা। বৃহস্পতিবার জাতীয় জাদুঘরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, “অপুকে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের বাসা থেকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে গোপীবাগে আটকে রেখে এই ভিডিও বানানো হয়েছে।”
আনিশা দাবি করেন, “ইশরাক হোসেন অপুকে সাহায্যের নামে ফাঁদে ফেলেছেন। তারা এনসিপি নেতা উপদেষ্টা আসিফ ও নাহিদ ইসলাম সম্পর্কে তথ্য আদায়ের চেষ্টা করেছেন।” তিনি আরও যোগ করেন, “এই ভিডিও স্টেটমেন্ট নেওয়ার ১৪ দিন পর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সম্পাদনা করে ছাড়া হয়েছে, যা এনসিপিকে দমনের কৌশল মাত্র।”
ঘটনাটি রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে এনসিপির সক্রিয় ভূমিকা এবং সরকারবিরোধী অবস্থানের কারণে দলটিকে চাপে রাখতে এই ঘটনাকে ব্যবহার করা হতে পারে।
অপুর স্ত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইশরাক হোসেন বা বিএনপির পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না আসায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, এই বিতর্ক শুধু অপুর ব্যক্তিগত জীবনই নয়, বিরোধী শিবিরের মধ্যে বিভক্তি আরও বাড়াতে পারে।
উল্লেখ্য, জানে আলম অপু দীর্ঘদিন বাগছাসের সক্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং সম্প্রতি এনসিপির যুব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার এই ঘটনা রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।