নিজস্ব প্রতিনিধি:
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত বিশেষ তদন্ত কমিটি স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে নজরদারি সরঞ্জাম ক্রয়ের বিষয়ে গভীর অনুসন্ধান চালাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিটি পরীক্ষা করবে কীভাবে, কোন উৎস থেকে এবং কী পরিমাণ ব্যয়ে এসব প্রযুক্তি সংগ্রহ করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক পরবর্তী ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, “বিগত সরকার ২০০-৩০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নাগরিকদের গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করে নজরদারি যন্ত্রপাতি ও স্পাইওয়ার সংগ্রহ করেছিল। প্রতিবেদনে ইসরাইল থেকে এসব প্রযুক্তি আমদানির তথ্য উঠে এসেছে, যা কমিটি খতিয়ে দেখবে।”
সংস্কার প্রক্রিয়া বিষয়ে আলম জানান, ১২১টি সংস্কার সুপারিশের মধ্যে ১৬টি সম্পূর্ণ ও ১৪টি আংশিক বাস্তবায়ন已完成 হয়েছে। সাম্প্রতিককালে আরও ২৪৬টি জরুরি সংস্কার প্রস্তাব যুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে শ্রম খাতে ৮২টি, নারী উন্নয়নে ৭১টি, স্থানীয় সরকারে ৩৭টি, স্বাস্থ্যখাতে ৩৩টি এবং গণমাধ্যম সংস্কারে ২৩টি সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত।
পুলিশ বাহিনীর জন্য মারণাস্ত্র সংগ্রহ প্রক্রিয়াও তদন্তাধীন রয়েছে বলে ব্রিফিংয়ে জানানো হয়। সরকারের পক্ষ থেকে জোর দেওয়া হয়েছে দ্রুততম সময়ে অগ্রাধিকারভিত্তিক সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর।
এই তদন্তকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা স্বৈরাচারী শাসনামলে নাগরিক অধিকার হরণের প্রক্রিয়ার স্বচ্ছ তদন্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছেন। কমিটির প্রতিবেদন বাংলাদেশের গোপনীয়তা ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষায় একটি মাইলফলক স্থাপন করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।