নিজস্ব প্রতিনিধি:
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ এলাকা থেকে লুট হওয়া বিপুল পরিমাণ সাদা পাথর উদ্ধারে ঢাকার ডেমরার সারুলিয়ায় র্যাব-১১, জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযান চালানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টায় র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি ভোলাগঞ্জ এলাকা থেকে প্রায় দুই লাখ ঘনফুট সাদা পাথর অবৈধভাবে উত্তোলন করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ২০০ থেকে ২৫০ কোটি টাকা। একই সময় প্রায় ছয় লাখ ঘনফুট বালুও লুট হয়েছে, যার মূল্য প্রায় ২৪০ কোটি টাকা। স্থানীয় দয়ার বাজার, কলাবাড়ি ও ভোলাগঞ্জের ১০ নম্বর ঘাট থেকে এসব পাথর সংগ্রহ করে বিভিন্ন ক্রাশার মেশিনে পাঠানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
অবৈধ উত্তোলন রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে ডেমরার সারুলিয়ায় অভিযান চালায়। এখান থেকে অন্তত ৪০ হাজার ঘনফুট আস্ত ও ক্রাশড পাথর উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান র্যাব-১১ এর অধিনায়ক।
ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, *”লুট হওয়া পাথরগুলো কোথায় আনলোড করা হয় তা জানতে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করি। সারুলিয়ার শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে গড়ে ওঠা গদিগুলোতে ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর মজুত রাখা হচ্ছিল। সাতটি গদিতে আমরা এ ধরনের পাথর পেয়েছি। পাথরগুলো ক্রাশার মেশিন দিয়ে ভেঙে ফেলা হচ্ছিল, যাতে তাদের উৎস চিহ্নিত করা না যায়।”*
তবে, পাথর লুট ও মজুতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা যায়নি বলে জানান তিনি। র্যাব সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ পাথর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত চক্রের বিরুদ্ধে আরও ব্যাপক অভিযান চলবে।