আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের অ্যাঙ্করিজ শহরের একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। নিরাপত্তা ও সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে বৈঠকটি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, এ থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।
এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে ট্রাম্প কর্তৃক রাশিয়াকে যুদ্ধবিরতির জন্য সময়সীমা দেওয়ার ঠিক এক সপ্তাহ পর। সময়সীমা শেষে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকিও দেওয়া রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইতোমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, আলোচনা সফল হলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদিমির জেলেনস্কিকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় শান্তি বৈঠক আয়োজনের সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে, ইউক্রেনকে এই আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত না করায় জেলেনস্কি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তার মতে, “ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে কোনো শান্তিচুক্তি করা হলে তা পুতিনের বিজয় হিসেবে গণ্য হবে।” ইউরোপীয় নেতারা মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন, যাতে তিনি ইউক্রেনের জন্য গ্রহণযোগ্য শর্তে যুদ্ধবিরতির জন্য মস্কোর ওপর চাপ বাড়ান।
এদিকে, রাশিয়ার বিশ্লেষকরা এই বৈঠককে এখনই পুতিনের কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখছেন। রুশ প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও কূটনীতিক ইউরি উশাকভ বলেছেন, “আলাস্কা ও আর্কটিক অঞ্চলে রাশিয়ার অর্থনৈতিক স্বার্থ জড়িত রয়েছে এবং এখানে বড় ধরনের সহযোগিতামূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের সুযোগ রয়েছে।”
বিশ্লেষকদের ধারণা, আলাস্কার এই বৈঠক ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তির পথ প্রশস্ত করতে পারে কি না তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে, এই বৈঠকের ফলাফল ইউক্রেন সংকটের ভবিষ্যৎ এবং বৈশ্বিক শক্তির ভারসাম্যের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।