নিজস্ব প্রতিনিধি:
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ সতর্ক করেছেন যে, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যদি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, তাহলে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করতে পারেন। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফুয়াদ তার বক্তব্যে বলেন, “বিএনপি প্রথমবারের মতো এমন অবস্থায় রয়েছে যে তাদের প্রতিটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো প্রার্থী নেই। অন্য সব দল একত্রিত হলেও বিএনপির বিরুদ্ধে ১০০টি আসনে প্রার্থী দেওয়াও কঠিন হবে।” তিনি আরও যোগ করেন, বিএনপির ১৩০-১৩৫টি আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় দলটি নিজেই নিজের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে চলমান বিতর্কের প্রসঙ্গ টেনে এবি পার্টির এই নেতা বলেন, “আমরা কেন ২০৩১ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করব? যদি নারীদের আসন ৫০ থেকে ১০০তে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিই, তাহলে ২০২৬ সালেই তা বাস্তবায়ন করা উচিত।” তিনি প্রধানমন্ত্রীর দুই মেয়াদের সীমাবদ্ধতা, নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সংস্কার এখনই বাস্তবায়নের তাগিদ দেন।
ফুয়াদ সতর্ক করে বলেন, “জামায়াত ও চরমোনাই যদি আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির দাবিতে নির্বাচন বয়কট করে এবং এনসিপি যদি সংস্কার বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে অনড় থাকে, তাহলে নির্বাচন একতরফা হয়ে যেতে পারে।” এমন পরিস্থিতিতে ইউনূসের পদত্যাগের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এমন নির্বাচনের দায় আমরা নেব না। তখন প্রফেসর ইউনূস দায়িত্ব ছেড়ে দিতে পারেন।”
তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “এ সমস্ত ইস্যু সমাধানযোগ্য। এখানে বিএনপিকেই নেতৃত্ব দিতে হবে এবং কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। কারণ, অন্যরা যা অর্জন করতে পারবে না, বিএনপি যদি তা না করে তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তারা নিজেরাই।”