নিজস্ব প্রতিনিধি:
সিলেটের ভোলাগঞ্জ এলাকা থেকে কোটি টাকার সাদা পাথর লুটের ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে। এর আগে অজ্ঞাতনামা দুই হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হাবীব শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাতে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে ভোলাগঞ্জের গেজেটভুক্ত পাথর খনি থেকে অবৈধভাবে কোটি টাকার পাথর লুট করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের সঠিক পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে জানানো হয়।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, এই লুটপাট খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২ এবং সংশ্লিষ্ট বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এছাড়া দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪৩১ ধারায় বর্ণিত অপরাধও সংঘটিত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
সূত্রমতে, সিলেট থেকে এ পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবেশকর্মী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, গত এক বছরে ভোলাগঞ্জ থেকে প্রায় এক কোটি পঞ্চাশ লাখ ঘনফুট পাথর লুট হয়েছে, যার বাজারমূল্য দুই শত কোটি টাকার বেশি।
পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃত পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে লুটের নেটওয়ার্ক সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় উদ্ধারকৃত পাথরের পরিমাণ ও মূল্যমান নির্ধারণে বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।