জাকির হোসেন হাওলাদার, দুমকী( পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের এলজিইডির ৫০ কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং উঠে ছোট-বড় গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে অটোরিক্সা ও মোটরসাইকেল চলাচলা করলেও অন্যান্য যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে সড়কের আশপাশের বাসিন্দা ও যাত্রীসাধারণের ভোগান্তির শেষ নেই।
আজ রবিবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দুমকী উপজেলার এলজিইডির থানা ব্রিজ থেকে মুন্সীরহাট-মৌকরণ ও জামলা বাজার হয়ে সেকান্দার দফাদার বাড়ি পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার, সরকারি জনতা কলেজ থেকে বাহেরচর পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার, পিরতলা বাজারের উত্তর মাথা থেকে পাতাবুনিয়া বাজার ৩ কিলোমিটার, রাজাখালী বাজার থেকে কদমতলা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার, আংগারিয়া সালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে নদীর পাড় হয়ে আঙ্গাবিয়া বন্দর পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার, মুরাদিয়ার আব্দুল গনি শিকদার দাখিল মাদ্রাসা থেকে মিয়াবাড়ী-বগা ফেরিঘাট পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার, বোর্ড অফিস বাজার থেকে কদমতলা বাজার পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের প্রামীণ ব্যাংক সড়ক হতে আঠারগাছিয়া হয়ে পাগলা ব্রিজ পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার, পাঙ্গাসিযা ইউনিয়নের পাঙ্গাসিয়া কামিল মাদ্যসা হতে ধোপারহাট-নলদোয়ানী পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার এলজিইডির এই ৫০ কিলোমিটারের বেশি পাকা সড়কের চরম বেহাল অবস্থা ও কার্পেটিং উঠে অসংখ্য খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। যাতায়াতের এ সড়কগুলো যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় চরম দুর্ভেগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। যাতায়াতের জন্য গুনতে
হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
শ্রীরামপুরের ব্যবসায়ী ও জামলা গ্রামের কিবরিয়া আক্ষেপ করে জানান, এলজিইডির গুরুত্বপূর্ণ সড়ক খানাখন্দের কারণে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটলেও কর্তৃপক্ষের সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে অতি দ্রুত সড়ক গুলো সংস্কার দরকার।
এ সকল রুটে চলাচলকারী অটোচালক বশির বলেন, রাস্তা খারাপ হওয়ায় সহজে কোনো গাড়ি এ সকল সড়কে যেতে চায় না। একবার আসা-যাওয়ার পর দেখা যায় গাড়ির কোনো না কোনো ক্ষতি হয়েছে। অধিকাংশ গাড়ির বাম্পার, চেসিসসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ একাধিকবার ভেঙেছে। মালিকরা ক্ষতি পোষাতে না পেরে এই সমস্ত রাস্তায় যান চলাচল প্রায় বন্ধই রেখেছে। হাতেগোনা কয়েকটা গাড়ি চলাচল করলেও গন্তব্যের শেষ পর্যন্ত যেতে পারছে না। এতে যাত্রীদের আরও দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কবির মৃধা বলেন, পটুয়াখালী জেলা শহরের সঙ্গে স্বল্প সময়ে কম খরচে দ্রুত ও সহজ যাতায়তের থানা ব্রিজ হতে মৌকরণ রাস্তাটির এমন দূরবস্থার কারণে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বিকল্প সড়কে জেলা শহরে যেতে যাত্রীকে দ্বিগুণ সময় ও ভাড়া গুনতে হচ্ছে। জনস্বার্থে এই সড়কটিসহ সকল সড়ক সংস্কার প্রয়োজন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, এই বছরে কিছু সড়ক সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দের আবেদন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল সড়ক বরাদ্দের জন্য আবেদন করা হবে।