নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসরে ফিক্সিংয়ের অভিযোগে তদন্ত কমিটি চাঞ্চল্যকর ফলাফল পেয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে রাজশাহী, সিলেট ও ঢাকার তিন ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং ১০-১২ জন ক্রিকেটারের নাম উঠে এসেছে, যাদের মধ্যে জাতীয় দলের দুই সদস্যসহ বেশ কয়েকজন হাই প্রোফাইল খেলোয়াড় রয়েছেন।
সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটি গত আসরে সন্দেহজনক ৩৬টি ঘটনা চিহ্নিত করেছে। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন একজন জাতীয় দলের পেসার, একজন অফ স্পিনার এবং অস্বাভাবিক ওয়াইড বোলিংয়ের অভিযোগে আরেকজন পেসার। এছাড়াও বিসিবির একটি উপ-কমিটির সদস্যসহ তিন ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য যে, একটি ম্যাচ হেরে যাওয়ার জন্য ৪০০ কোটি টাকার অফার দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রচার মাধ্যম নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে বেটিং সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে একটি চ্যানেল ১৭০-১৮০ কোটি টাকা আয় করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযুক্ত বেশিরভাগ ক্রিকেটারের বয়স ৩৫ পেরিয়ে গেছে এবং তাদের জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা কম। তবে শ্রীলংকা সফরের দলে থাকা একজন ক্রিকেটারের নামও তালিকায় রয়েছে। তদন্ত কমিটি সুপারিশ করতে যাচ্ছে, প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তদের ক্রিকেট থেকে দূরে রাখার।
দুর্বার রাজশাহী, সিলেট স্ট্রাইকার্স ও ঢাকা ক্যাপিটালস ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে তদন্তে ধরা পড়েছে। ক্রিকেট বোর্ড এখন পর্যন্ত এই অভিযোগগুলোর ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এই কেলেঙ্কারি বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন সংকট তৈরি করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।