ইমতিয়াজ উদ্দিন, জবি প্রতিনিধি:
বারডেম জেনারেল হাসপাতাল ও ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজে বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস বিষেশজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক ডা. আবুল খায়ের আহমদ জামানের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষার্থী এবং দৈনিক দিনকালের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি এস এম সিয়াম।
সিয়াম বলেন, ” চিকিৎসা নিতে গিয়ে ডা. আবুল খায়ের শুধু খারাপ আচরণই করেননি, বরং রোগী ও তার বাবাকে কর্কশ ভাষায় অপমান করেছেন।”
রবিবার (১৭ আগস্ট) নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অভিযোগ জানিয়ে পোস্ট করেন ভুক্তভোগী সিয়াম।
তিনি অভিযোগ করে ফেসবুক পোস্টে লিখেন, “গত জুনে মেরুদণ্ড ও মাংসপেশির ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি বারডেমে চিকিৎসা নিতে শুরু করেন। প্রথমে ওষুধে সাময়িক আরোগ্য হলেও আগস্টে ব্যথা ফের তীব্র হলে নতুন করে এক্স-রে ও বিভিন্ন টেস্ট করানোর পর রিপোর্ট দেখাতে যান। কিন্তু অন্য এক চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন হাতে পেয়ে ডা. আবুল খায়ের নাকি রেগে গিয়ে রিপোর্টগুলো ছুঁড়ে ফেলে দেন এবং কোনো কথা না শুনে চলে যান।”
তিনি প্রশ্ন করে বলেন, “এক মেডিকেল রিপোর্ট দুইজন ডাক্তারের কাছে দেখানো বা দুইজনের থেকে পরামর্শ নেওয়া কি গুরুতর কোনো অপরাধের মধ্যে পড়ে?”
সিয়াম আরও বলেন, “উনার প্রফেশনালিজম নিয়ে এখন আমার সন্দেহ আছে; উনি বা বারডেম কর্তৃপক্ষ যেহুতু আমার থেকে টাকা নিয়েছেন সেহেতু ডা. আবুল খায়ের সাহেব আমার রিপোর্ট দেখতে বাধ্য; উনি ডাক্তার হউক বা যেই হউক না কেনো উনি আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করার কোনো অধিকার রাখেন না, এর জন্য উনাকে আমাদের কাছে নতজানু হয়ে বিনা শর্তে ক্ষমা চাইতে হবে; আমি একজন সাংবাদিক জানা সত্ত্বেও উনি যদি আমার সাথে এমন আচরণ করতে পারে তাহলে সাধারণ রোগীর সাথে কেমন আচার ব্যবহার করবে এটা নিয়ে আমি ভীত সন্ত্রস্ত।”
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী অধ্যাপক ডা: আবুল খায়ের আহমদ জামান বলেন, “পিজি হাসপাতাল থেকে টেস্ট করেছে এবং ডাক্তার দেখিয়েছে, সেই প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী বাকী চিকিৎসা চালানোর কথা বলেছি। এই কথা বলে আমি রুম থেকে বেরিয়ে গেছি।”
একজন রোগীকে রুমে রেখে এভাবে বেরিয়ে যাওয়া ঠিক হয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে তিনি জবাবে বলেন, “আমি নামাজের সময় হয়ে যাওয়ায় বেরিয়ে গেছি।”