নিজস্ব প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা রেদোয়ান আফ্রিদী (২৩) এক অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কলেজের পেছনের পকেট গেট সংলগ্ন এলাকায় এই হামলা চালানো হয়। আহত রেদোয়ান আফ্রিদী কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্র এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সরকারি কলেজ শাখার সাবেক সদস্য সচিব ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রগুলো অভিযোগ করেছে যে কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শিমুল হোসেনের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে। বর্তমানে আফ্রিদীকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক হোসেন ইমাম জানিয়েছেন, আফ্রিদীর বুকে গুরুতর আঘাত রয়েছে এবং তার অবস্থা এখনো আশঙ্কামুক্ত নয়।
হাসপাতালে আহত আফ্রিদীকে দেখতে এসেছিলেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন, এনসিপি নেতা রাসেল আহমেদ এবং কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোজাক্কির রহমান রাব্বি প্রমুখ। ওসি মোশাররফ হোসেন ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “সরকারি কলেজ মাঠের পেছন দিকের পকেট গেটে পৌঁছামাত্রই আফ্রিদী অতর্কিত হামলার শিকার হন। প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি যে ৭-৮ জনের একটি দল এই হামলা চালিয়েছে। দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।”
ছাত্র সংসদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার মুখ্য সংগঠক সুজন মাহমুদ এই হামলার পেছনে পূর্ববর্তী দ্বন্দ্বকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, “মাসখানেক আগের একটি দ্বন্দ্বের জের ধরে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শিমুল হোসেনের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে। আমরা এই সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের দ্রুত বিচার চাই।”
কুষ্টিয়া ছাত্রদলের সভাপতি মোজাক্কির রহমান রাব্বি এই ঘটনায় তার সংগঠনের অবস্থান পরিষ্কার করে বলেন, “এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি যে দলেরই হোক, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও মব সৃষ্টির প্রবণতাতে বিশ্বাস করে না।” তিনি আহত ছাত্রনেতার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।