মোহাইমিনুল হাসান,ক্যাম্পাস প্রতিনিধি:
সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতি (সোকসাস) এর ২০২৫-২৬ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরামর্শক মন্ডলীর সিদ্ধান্তক্রমে নাজমুল খান সুজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে মোট পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন—আরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ যুবায়ের, বীর সাহাবী এবং ফেরদৌস সাগর।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাজমুল খান সুজন বলেন, “সামনে অনুষ্ঠিতব্য সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতির নির্বাচনে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে বাধ্যপরিকর। নির্বাচনে প্রার্থীদের নাম ও পদবী ব্যালট পেপারে থাকবে, ব্যালটে সিল ও আমাদের কমিশনের বিশেষ রঙের কালি ব্যবহার করা হবে। গোপন কক্ষে সিল দেওয়া হবে এবং সচ্ছ ব্যালট বাক্সে রাখার সময় কমিশনাররা নজর রাখবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হতে আমার এবং তিনজন কমিশনারের সর্বোচ্চ মনোযোগ থাকবে।।”
নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য সদস্যরাও জানিয়েছেন, তারা একটি সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সোকসাস প্রতি বছর নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করে সংগঠন পরিচালনা করে আসছে। সাংবাদিকতা চর্চা, শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সমিতির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নির্বাচনের তারিখ ও প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।
সাংবাদিক সমিতির সদস্য রুমা আক্তার জানান, “আমাদের প্রত্যাশা এই নির্বাচন সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও ন্যায়পরায়ণ হবে। নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি যেন সদস্যদের কল্যাণকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়, সাংবাদিকতা চর্চা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে মনোযোগ দেয়। আমরা চাই নতুন কমিটি কলেজ প্রশাসন এবং সকল সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সমিতিকে সঠিকভাবে পরিচালনা করবে।”
সাংবাদিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াসিন মোল্লা বলেন,আমি কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি এবং সম্ভব যতটুকু করেছি সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য। আমার অসমাপ্ত কাজগুলো আগামী কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যরা সম্পন্ন করবে বলে বিশ্বাস করি। নির্বাচনের জন্য সুন্দর একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে, আশা করি তারা সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতিকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবে। নির্বাচনের মাধ্যমে সদস্যরা তাদের পছন্দের প্রার্থী বেছে নেবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি আগামী কমিটিতে থাকতে চাই না; চাই নবীনরা সামনে আসুক এবং তাদের সৃজনশীলতা দিয়ে সংগঠন ও কলেজের উন্নয়নে অংশগ্রহণ করুক।