ইমতিয়াজ উদ্দিন, জবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আয়োজনে “কলমের স্বপ্ন, ফোরামের পথ: নবীন সদস্যদের পরিচিতি” শীর্ষক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (২০ আগস্ট) রাত ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফোরামের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আব্দুল কাদের নাগিব এবং সঞ্চালনা করেন জবি শাখার সদস্য প্রতীক মন্ডল।
প্রথমেই কুরআন তিলাওয়াত করেন রিফাত, গীতা পাঠ করেন অদ্রিতা দাস, গজল পরিবেশন করেন আব্দুল কাদের নাগিব এবং সঙ্গীত পরিবেশন করেন তাওহিদা সুলতানা ও রিশাদ আহমেদ। এছাড়া কবিতা আবৃত্তি করেন নুসরাত জাহান স্মরণিকা ও প্রযুক্তা রায়।
এই আলোচনা সভায় অংশ নেন:-
১. আমজাদ হোসেন হৃদয়, রিপোর্টার দৈনিক কালবেলা ও বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি
২. ইমরান হুসাইন, রিপোর্টার সমকাল, সভাপতি জবি সাংবাদিক সমিতি এবং ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক
৩. ইসরাফিল আলম রাফেল, ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক
৪. আব্দুল কাদের নাগিব, সভাপতি, জবি শাখা
৫. রাকিবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক, জবি শাখা
বক্তারা নবীন সদস্যদের লেখালেখিতে উদ্বুদ্ধ হওয়ার পরামর্শ দেন।
ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসরাফিল আলম রাফেল বলেন, “লেখার প্রথম শর্ত হলো পড়া। ভালো লিখতে হলে জাতীয় পত্রিকার লেখাগুলো আগে বিশ্লেষণ করতে হবে। নতুনরা ছোট ছোট লেখা দিয়ে শুরু করলে লেখা ছাপানোর সম্ভাবনা বেশি থাকবে।”
দৈনিক কালবেলার রিপোর্টার ও বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি
আমজাদ হোসেন হৃদয় বলেন, “বাংলাদেশ গঠনে লেখকদের বিকল্প নেই। লেখকরা যেকোনোকিছু গতানুগতিকভাবে চিন্তা না করে অন্যভাবে চিন্তা করেন, তাই তারা সমাজের অন্যরকম চিন্তাভাবনার মানুষ হয়ে ওঠেন।”
সমকালের রিপোর্টার ও জবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি এবং ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরান হুসাইন বলেন, “সবার মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা আছে, লেখালেখি সেই প্রতিভাকে প্রকাশের অন্যতম উপায়। আন্তর্জাতিক বিষয় ও অর্থনীতি নিয়ে লেখার প্রতি আগ্রহী হতে হবে।”
ফোরামের জবি শাখার সভাপতি আব্দুল কাদের নাগিব বলেন, “লেখালেখিকে সমৃদ্ধ করতে হলে বেশি বেশি পড়তে হবে এবং অভিজ্ঞদের কাছে লেখা যাচাই করাতে হবে।”
ফোরামের জবি শাখার সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বলেন, “লেখালেখিতেও সফল হওয়া যায়, আমাদের ফোরামের লেখকরা তার প্রমাণ।”
ফোরামের জবি শাখার আরেক সদস্য রিফাত হোসেন বলেন, “লেখা প্রকাশ পাক বা না পাক, লেখালেখি চালিয়ে যাওয়াটাই জরুরি।”
এছাড়া নবীন সদস্যরা নিজেদের পরিচয় প্রদান করেন। নুসরাত জাহান স্মরণিকা ও প্রযুক্তা রায় নিয়মিত এই ধরনের আয়োজনের আহ্বান জানান।
এই আলোচনায় আরো জানানো হয়, আগামী ২ সেপ্টেম্বর ফোরামের জবি শাখার পক্ষ থেকে নবীনবরণ ও লেখক সম্মাননা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত থাকবেন।