২৩শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৯শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভুল্লী বাজারে ওষুধ কিনতে বেরিয়ে এক গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে

আহসান হাবিব মিম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভুল্লী বাজারে ওষুধ কিনতে বেরিয়ে এক গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাতে ওই গৃহবধূর স্বামী থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এর আগে মঙ্গলবার (১৯) আগস্ট দুপুরে ওই এলাকার কুমারপুর কলেজপাড়ার ইসরাত জাহান নাসরিনের বাড়িতে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভুল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকার।

আসামিরা হলেন- ভুল্লী কুমারপুর এলাকার ক্ষেণপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত জামাল উদ্দীনের ছেলে হামিদুর রহমান (৫২), একই গ্রামের মৃত রজব প্রাচে উদ্দীনের ছেলে জাহেরুল ইসলাম (৪৮) ও ভুল্লী কলেজপাড়া এলাকার মোঃ নাসির উদ্দীনের মেয়ে ইসরাত জাহান নাসরিন (২৩)। এরমধ্যে রাতেই হামিদুর রহমান ও ইসরাত জাহান নাসরিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ কিছুটা মানসিক সমস্যাগ্রস্থ হওয়ায় প্রতিবেশী হামিদুর রহমান ও জাহেরুল ইসলাম প্রায়ই সময় রাস্তা-ঘাটে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ভিকটিম গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওষুধ কেনার জন্য ভূল্লী বাজারে গেলে আসামীরা ভিকটিমকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। ভিকটিম যেতে না চাইলে তারা জোর করে একটি অটোরিকশায় তুলে দিয়ে খোশবাজারে নিয়ে যায়। এরপর একটি দোকানে পাউরুটি ও চা খাওয়ায়। তারপর আসামিরা ভিকটমকে মোটরসাইকেলে করে বালিয়া ইউনিয়নের জ্বীনের মসজিদে নিয়ে যায়। পরে জাহেরুল ইসলাম ভিকটিমকে একটি অটোভ্যানে করে কুমারপুর কলেজপাড়ার ইসরাত জাহান নাসরিনের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং তার ইসরাত জাহান নাসরিনের সহায়তায় তার বাড়িতেই হামিদুর ও জাহেরুল জোড়পূর্বক ভাবে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।

পরে ওই নারী বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানান। এঘটনার সময় ভিকটিমের স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। এ সুযোগে আসামীরা বিষয়টি মিমাংসার জন্য চাপ দেয়। ভিকটিম তাদের প্রস্তাবে রাজী না হয়ে স্বামীর সঙ্গে থানা পুলিশের দারস্ত হন। এরপর ঘটনাটি পুলিশ জানতে পেরে রাতে অভিযুক্তদের আটক করেন।

ভূক্তভোগী ওই গৃহবধূর স্বামী অভিযোগ করে বলেন, আমি কাজের জন্য কুমিল্লায় থাকায় এই সুযোগে হামিদুর ও জাহেরুল আমার স্ত্রীকে সঙ্গে জঘন্যতম কাজ করে। আমার স্ত্রী একটু মানসিক সমস্যাগ্রস্ত। এরকম জঘন্য কাজ কাজ করার পরেও কিছু লোক আপোষের জন্য প্রস্তাব দেয়। আমি আমি আসামিদের দৃষ্টান্তমুলক বিচার চাই।

এবিষয়ে ভুল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক আরেক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top