২৪শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১লা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

আওয়ামী শাসনামলে বিরোধী মতের শিক্ষার্থীদের জঙ্গি আখ্যা দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিতো সাবেক প্রক্টর মাহবুব: ইবি শিবির সভাপতি

ওবাইদুল্লাহ আল মাহবুব, ইবি প্রতিনিধি:
আওয়ামী শাসনামলে সাজানো ক্রসফায়ার, কথিত জঙ্গিবাদের নাটক, বিরোধী মতের দমন-পীড়ন ও শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগ তুলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের বহিষ্কার ও বিচারের দাবিতে হওয়া বিক্ষোভ মিছিলে ইবি শিবির সভাপতি মু. মাহমুদুল হাসান বলেন, “আওয়ামী শাসনামলে বিরোধী মতের শিক্ষার্থীদের জঙ্গি আখ্যা দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিতো সাবেক প্রক্টর মাহবুব। এমনকি পরীক্ষার হল থেকে ধরে বিরোধী মতের বহু শিক্ষার্থীদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন, ইসলামী শিক্ষার মক্তব বন্ধ করেছেন এবং নানা ঘটনায় ছাত্রশিবিরকে জড়িয়েছেন। সেই সময়ে তিনি বাদী হয়ে প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন, যা আজও বহাল রয়েছে। ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন চলাকালে এই প্রক্টর মাহবুব শিক্ষার্থীদের গুম করার হুমকি দিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার জন্য তাদের কোনো অপকর্ম বাদ নেই।”

আওয়ামী শাসনামলে সাজানো ক্রসফায়ার, কথিত জঙ্গিবাদের নাটক, বিরোধী মতের দমন-পীড়ন ও শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগ তুলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের বহিষ্কার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইবি ছাত্রশিবির।

রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ’বহিষ্কার বহিষ্কার, মাহবুবের বহিষ্কার’, ‘প্রক্টর মাহবুবের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘মাহবুব জঙ্গি, খুনি হাসিনার সঙ্গী’, ‘প্রক্টর মাহবুবের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ সহ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি মু. মাহমুদুল হাসান বলেন, “অভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও প্রশাসনের সঙ্গে এমন ফ্যাসিস্ট মানসিকতার লোকদের ঘনিষ্ঠতা বোধগম্য নয়। তারা এখনও ষড়যন্ত্র করছে, কাকে হত্যা করা যায় সেই পরিকল্পনাও করছে। তাদের মতো সন্ত্রাসীদের এই ক্যাম্পাসে কোনো স্থান হতে পারে না। আওয়ামী শাসনামলে তারা সক্রিয় ছিল, কিন্তু এখনও তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।”

মাহমুদুল আরও বলেন, “আমরা চাই শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীর মতো আচরণ করবেন এবং আমাদের বোনদের শালীনভাবে পর্দা করার সুযোগ দেবেন। অতীতে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও ছাত্র ইউনিয়নের ওপরও নির্যাতন চালানো হয়েছে।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, “যদি বর্তমান প্রশাসনের সামর্থ্য থাকে তবে অবিলম্বে তাকে বহিষ্কার করুক, নয়তো এই প্রশাসনের কোনো প্রয়োজন নেই।”

বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইকসু প্রতিষ্ঠা, সকল কার্যক্রমে ডিজিটালাইজেশন এবং সদ্য ঘটে যাওয়া সাজিদ হত্যার ন্যায়বিচার দাবি করেন।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top