জাকির হোসেন হাওলাদার, দুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলায়, গ্রাম-বাংলার শরৎকালের সেই চিরচেনা প্রকৃতিতে অপরূপ শোভাবর্ধনকারী কাশফুলের দৃশ্য এখন আর চোখেই পড়ে না। শরৎকাল শেষে হেমন্তের শুরুতেও পায়রা, লোহালীয়া, পান্ডব নদীর তীরবর্তী কদমতলা,নলুয়া,বাহেরচর,লেবুখালি,আলগী,সহ কিছু এলাকায় প্রকৃতিতে অপরূপ শোভাবর্ধনকারী কাশফুল বাতাসে দোল খাচ্ছে।
সকাল-বিকাল এলাকার বিভিন্ন বয়সের ছেলে-মেয়েরা মোবাইলে ছবি/ সেলফি তুলছে। নিকট অতীতেও দেখা গেছে শরৎকাল এলেই গ্রাম-বাংলার ঝোপ-জঙ্গল, রাস্তা-ঘাট ও নদীর দুই ধারসহ আনাচে-কানাচে শোভা পেত কাশফুলের মন মাতানো নাচানাচি। কাশবনের ফুলগুলো দোল খেত একটার সাথে আর একটা। এ সময় অজান্তেই মানুষের মনে ভিন্ন রকম আনন্দের ঝিলিক বয়ে যেত।
বিশেষ করে তিনটি স্থানে দেখা যেত কাশফুলের বাগান, পটুয়াখালী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠ, লেবুখালির চর, কদমতলা কলেজ মাঠ, সহ অন্যান্য স্থানে, দর্শনীয় স্থান হিসেবে ঘুরতে দেখা যেত, পটুয়াখালী জেলার ৮টি (দুমকি, মির্জাগঞ্জ, গলাচিপা, বাউফল, কলাপাড়া, দশমিনা, রাঙ্গাবালী ও পটুয়াখালী সদর, উপজেলাতে শরৎকালে সেই চিরচেনা কাশফুলের দৃশ্য এখন কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে। এখন গ্রাম-বাংলায় বিচ্ছিন্নভাবে থাকা যে কয়েকটি কাশফুল চোখে পড়ে সেগুলোও হারিয়ে যাচ্ছে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রয়োজনের তাগিদেই মানুষ ঝোপঝাড়, বনজঙ্গল ও অন্যান্য পতিত স্থান কেটে কৃষি জমি সম্প্রসারণ করাসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং আবাসিক এলাকা গড়ে তুলছেন। এতে প্রকৃতিতে অপরূপ শোভাদানকারী কাশবনসহ গ্রাম-বাংলার অনেক অনেক ঐতিহ্যবাহী ও মন মাতানো দৃশ্যগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। মানুষ একটু সচেতন হলেই কাশবনসহ গ্রাম-বাংলার চিরচেনা ঐতিহ্যগুলো হারিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে।