আদিব হাসান প্রান্ত, সিকৃবি প্রতিনিধি:
বুয়েট শিক্ষার্থীদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এবং প্রকৌশল খাতের সংস্কারের লক্ষ্যে উপস্থাপিত ৩ দফা যৌক্তিক দাবির সাথে সংহতি প্রকাশ করে সিকৃবিতে রবিবার দুপুর ১টায় টিএসসির সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের সকল শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশে চিকিৎসা ও প্রশাসনের মানোন্নয়ন হলেও বিএসসি প্রকৌশলীদের মর্যাদা ও কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃতি বারবার উপেক্ষিত হচ্ছে। অন্যদিকে, ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীরা এসএসসি পাস করে দশম গ্রেডে চাকরিতে প্রবেশ করছে, সরকারি-বেসরকারি চাকরিক্ষেত্রে নিজেদের নামের আগে ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহার করছে এবং নবম গ্রেডে পদোন্নতি পাচ্ছে। অথচ বিএসসি ডিগ্রিধারীরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত। দশম গ্রেডে শুধু ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের জন্য পদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এতে চার বছরের স্নাতক কোর্স শেষ করা শিক্ষার্থীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ছেন।
মানববন্ধনে উপস্থিতরা আরও বলেন, প্রকৌশলীদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হলে জাতীয় উন্নয়ন ব্যাহত হবে। অবকাঠামো, শিল্প, কৃষি, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ খাতে প্রকৌশলীদের অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই চলমান বিএসসি শিক্ষার্থীদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তারা। এছাড়া সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদকে দ্রুত আইইবি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যও জোর দাবি জানান।
প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের চলমান তিন দফা দাবি হলো:
১) নবম গ্রেড (সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান) পদে নিয়োগ:
প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক এবং প্রার্থীর অন্তত বিএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে। কোনো কোটা বা ভিন্ন নামে সমমানের পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
২) টেকনিক্যাল (দশম গ্রেড, উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান) পদে নিয়োগ:
এই নিয়োগ পরীক্ষা ডিপ্লোমা ও বিএসসি ডিগ্রিধারীদের উভয়ের জন্য উন্মুক্ত হতে হবে।
৩) ‘প্রকৌশলী’ পদবি ব্যবহার:
শুধুমাত্র বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারীরাই ‘প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ার)’ পদবি ব্যবহার করতে পারবেন। বিএসসি-বিহীন কেউ এই পদবি ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে