নিজস্ব প্রতিনিধি:
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকা বেনামি ঋণের মাধ্যমে লুট করার অভিযোগ উঠেছে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সাথে এক বৈঠক শেষে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তিনটি পৃথক অডিট এই লেনদেনের সত্যতা যাচাই করেছে এবং এই ঋণের মূল সুবিধাভোগী ছিলেন গ্রুপটির চেয়ারম্যান সাইফুল আলম।
আবদুল মান্নান বলেন, নিজের নামে ঋণ নেওয়ার সুযোগ না থাকায় এস আলম গ্রুপ বেনামি পথে এই বিপুল অর্থ ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে। এই ঋণ আদায় না হওয়ায় ব্যাংকটি এখন মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্তের সাথে তারা একমত, তবে আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা করতেই হবে।
ব্যাংকিং সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে পাঁচটি দুর্বল ব্যাংককে একীভূত করার পরিকল্পনা নিয়েছে, যার মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকও অন্তর্ভুক্ত। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যাচলোনা অনুযায়ী, আলাদাভাবে এই ধরনের ব্যাংকগুলোকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তবে এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাংকগুলোর কর্মচারীদের চাকরি হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে, পাশাপাশি আমানতকারীরাও তাদের টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন।
অর্থনীতিবিদরা এই পরিস্থিতিতে একীভূতকরণের পুরো প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ ও পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন করার উপর জোর দিয়েছেন। তাদের মতে, এতে আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি কর্মচারীদের চাকরির সিকিউরিটি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। তবে, তারা দাবি করেছেন যে যাদের অনিয়ম ও লুটপাটের কারণে ব্যাংকগুলো এই সংকটে পড়েছে, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হোক।