ইমতিয়াজ উদ্দিন, জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো মার্শাল আর্ট (জুডো, কারাতে, তায়কোয়ান্দো ও উশু) অনুশীলন ক্যাম্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ সাজিদ অ্যাকাডেমিক ভবনের নিচতলায় মার্শাল আর্ট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিম, পিএইচডি।
তিনি বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের আয়োজন এবারই প্রথম, যা শিক্ষার্থীদের আত্মরক্ষা, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশ্বব্যাপী জুডো, কারাতে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহারিক জীবনযাত্রার অংশ। সামাজিক প্রেক্ষাপটে এর গুরুত্ব ক্রমেই বাড়ছে, কারণ তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা ও আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রশিক্ষণ অপরিহার্য হয়ে উঠছে।”
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্দীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ মোশাররাফ হোসেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন তাঁর বক্তব্যে বলেন, জুডো-কারাতের মতো মার্শাল আর্ট শুধু শারীরিক ক্রীড়াই নয়, এটি আমাদের তরুণ প্রজন্মের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এর প্রয়োগ জবিতে আরো আগে হওয়া উচিত ছিল। বাস্তবতা হলো, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা সীমিত সম্পদ নিয়ে কাজ করছি। নতুন এবং উদ্ভাবনী কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে গেলে প্রথমেই আমাদের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ এর বিষয়টি মাথায় রাখতে হয় , কারণ সম্পদের এই সীমাবদ্ধতা আমাদেরকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করায়। আমি আশাবাদী যে, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং প্রশাসন—সবাই মিলে একত্রিত হয়ে আমরা এই প্রতিষ্ঠানের যেকোনো সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হব।
ক্রীড়া কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্দীন বলেন, আমাদের সামর্থ্য সীমিত হলেও বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনেক আন্তরিক। গত ৫ আগস্টের পর থেকে আমরা প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়াপঞ্জী অনুযায়ী সব ইভেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। ক্রীড়ার ধারাবাহিকতা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রাণচাঞ্চল্য বৃদ্ধি করবে। এই ক্যাম্পের মাধ্যমে দক্ষ মার্শাল আর্ট প্রতিযোগী তৈরি করে দেশের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা জবির সুনাম বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। জুডো ও কারাতে শিক্ষার মাধ্যমে আমরা আত্মরক্ষায় পারদর্শী ও আত্মবিশ্বাসী হতে পারবো।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ শেখ গিয়াস উদ্দিন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন ক্রীড়া উপ-কমিটির ( কাবাডি, জুডো, কারাতে, শুটিং ও তায়কোয়ান্দ) আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নূরুল্লাহ।
প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ ক্যাম্পে অংশগ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ছয় শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রাথমিকভাবে আবেদন করেছেন। দক্ষ ট্রেইনারদের তত্ত্বাবধানে ক্যাম্পটি পরিচালিত হবে, যেখানে জাতীয় পর্যায়ে সাফল্য অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণের দায়িত্ব পালন করবেন