তরফদার মামুন, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
দীর্ঘ কয়েক যুগের পর পর অতিবাহিত হওয়ার পর অবশেষে ২০২৩ সাল থেকে ধাপে ধাপে শুরু হয় মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের ০১ নং ওয়ার্ডের শাহী ঈদগাহ রোড এর রাস্তার গাইড ওয়াল এবং ইট সলিংয়ের কাজ। স্থানীয় বাশিন্দারা জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এটাই প্রথমবারের মতো যে আমাদের গ্রামের একজন সাংবাদিক এলাকার রাস্তার উন্নয়নের সার্থে এমন বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
সাংবাদিকের আবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ধাপে ধাপে কাজ শুরু করেন। দীর্ঘ সময় ধরে স্থানীয় মানুষ রাস্তার অভাবে চরম দুর্ভোগে ছিলেন। বর্ষাকালে কাদা, ফেকাসে পানি ও কাঁচা মাটির কারণে চলাচল কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ত। প্রতিদিন স্কুল-মাদরাসার শিক্ষার্থী, রোগী ও সাধারণ মানুষকে অতি কষ্টে পথ চলতে হতো।
অচল হয়ে থাকা এই রাস্তাকে সচল করতে ধাপে ধাপে যে সকল পরিষদ অবদান রেখেছেন—
জেলা পরিষদ, মৌলভীবাজার
উপজেলা পরিষদ, মৌলভীবাজার
চাঁদনীঘাট ইউনিয়ন পরিষদ, মৌলভীবাজার
অবশেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এ সড়কে ইট সলিংয়ের কাজ শুরু হয়। দীর্ঘ সময় পর এলাকায় শুরু হওয়া এ উন্নয়ন কার্যক্রমে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ভুক্তভোগী মানুষ। তবে সড়কের সম্পূর্ণ উন্নয়ন কাজ এখনো শেষ হয়নি।
এলাকাবাসীর দাবি, বর্তমানে প্রায় ৬০০ ফুট গাইড ওয়াল এবং ৪০০ ফুট কাঁচা রাস্তা এখনো নির্মাণের অপেক্ষায় রয়েছে। এগুলো সম্পন্ন না হলে রাস্তার স্থায়িত্ব ঝুঁকির মুখে পড়বে এবং পথচারীদের জন্য আবারও ভোগান্তি তৈরি হবে।
ওই এলাকাতেই বসবাস করেন একজন স্থানীয় সাংবাদিক। তিনি নিজ উদ্যোগে রাস্তার উন্নয়নের জন্য বিশেষভাবে কয়েকটি পরিষদের কাছে আবেদন করেছিলেন। তার সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই ধাপে ধাপে এ রাস্তার কাজ শুরু হয়। তিনি আরও জানিয়েছেন, রাস্তার উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন এবং জনস্বার্থে ভবিষ্যতেও করবেন বলে আশাবাদী।
এলাকাবাসীও আশা প্রকাশ করেছেন, পূর্বে যেমনভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে, তেমনি পুনরায় সহযোগিতা করে দ্রুত গাইড ওয়াল ও কাঁচা রাস্তার কাজ শেষ করার মাধ্যমে সবার দুর্ভোগ দূর হবে। তারা আশাবাদী, কাজ সম্পূর্ণ হলে চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের এই সড়ক হবে টেকসই ও যাতায়াত উপযোগী একটি আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা।
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি বিশেষ আহবান, যেন দ্রুত বাকি কাজ সম্পন্ন করা হয় এবং এলাকার মানুষ দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পান।