নিজস্ব প্রতিনিধি:
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয় দিন অতিবাহিত হলেও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান জানিয়েছেন, এখনো তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বাগান গেটে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে রাশেদ খান বলেন, “নুরকে সুস্থ বলা হলেও বাস্তবে তিনি সুস্থ নন। তার নাক বাঁকা হয়ে গেছে, খাওয়ার সমস্যা হচ্ছে, মাথা ঘোরে, একা দাঁড়াতে পারেন না। এমনকি ওয়াশরুমে যেতে হলেও তাকে ধরে নিতে হয়।”
তিনি জানান, সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছেন। খুব শিগগিরই তাকে দেশের বাইরে নেওয়া হবে।
হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রাশেদ খান বলেন, “নুরের ওপর হামলার ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও এখনো কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা মনে করি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশনা ছাড়া এ হামলার সুযোগ ছিল না। তাই তাকে অবশ্যই প্রত্যাহার করতে হবে।”
তিনি আরও দাবি করেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম যেমন নিষিদ্ধ করা হয়েছে, একইভাবে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করতে হবে। তার ভাষায়, “তারা ফ্যাসিবাদের দোসর।”
রাশেদ খান হামলাকে পরিকল্পিত আখ্যা দিয়ে বলেন, “জাতীয় পার্টিকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনার বিরোধিতা করায় নুরসহ শতাধিক নেতাকর্মীর ওপর আক্রমণ চালানো হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি—এই হামলার বিচার করতেই হবে।”