জাকির হোসেন হাওলাদার, দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী জেলার দুমকি ও বাউফল উপজেলার চরগরবদী – বগা ফেরিতে ইজারা বাতিল হলেও বকশিশের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিদিন ফেরিতে পরিবহন ও যাত্রীদের কাছ থেকে লাখ টাকা সমপরিমাণ চাঁদাবাজি হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফেরি পরিচালনার দায়িত্বে সড়ক ও জনপথ বিভাগের চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকলেও অতিরিক্ত ১০ জন স্থানীয় লোকজনকে দায়িত্বে বসানো হয়েছে। তারা সিন্ডিকেট করে বকশিশ আদায় করছে। ফেরিতে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন সহকারী মোস্তাফিজুর রহমান, ওয়ার্ক সুপারভাইজার এনামুল, গ্রীজার সেলিম, এবং শ্রমিক সাব্বির। আর বকশিশ আদায়কারী সিন্ডিকেটে রয়েছেন শাহী, বাদল, রফিক, কাইয়ুম, নুরুজ্জামান, রাকিব, কবির, জাফর, , সালেহ ও শাহ আলম।
অভিযোগ অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে ১০০টি গাড়ি থেকে ৫০ টাকা করে আদায় হচ্ছে ৫ হাজার টাকা। ৫০টি ট্রাক থেকে ৫০ টাকা করে আদায় হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ টাকা। মিনিবাস, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, অটো ও টমটমসহ সব মিলে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৬ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা উঠছে।
পরিবহনের নির্ধারিত টোলের অতিরিক্ত ৫০টাকা বকশিশ বাণিজ্যে রীতিমতো অতিষ্ঠ পরিবহনের চালক ও সুপারভাইজাররা। দশমিনা – দুমকি -বাউফল-ঢাকা রুটের পরিবহন সুপারভাইজার কবির হোসেন‘র অভিযোগ, বকশিশ না দিলে ফেরির লোকজনের হাতে নাজেহাল হতে হয়।
পিকআপ চালক রফিক বলেন, ফেরিতে ওঠলেই বকশিশ আদায়কারী শ্রমিকরা গাড়ির সামনে দাড়িয়ে বকশিশ দাবি করেন। অতিরিক্ত ৫০ টাকা দিতে না চাইলে কয়েকজন তেড়ে আসে। নাজেহালের ভয়ে দূরদূরান্তের গাড়ি চালকরা তাদের দাবিকৃত বকশিশ দিতে বাধ্য হন। একই অভিযোগ স্থানীয় মোটরসাইকেল চালক ও যাত্রীদের। প্রতিটি মোটর সাইকেলে ১০ টাকা টোলের সঙ্গে বকশিশের নামে ১০ টাকা যোগ করে ২০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, সরকারি নির্ধারিত ভাড়া থাকলেও বকশিশের নামে অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ ও পরিবহন শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ।
পটুয়াখালী জেলার সওজ‘র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জামিল হোসেন জনবল সংকটের কারণে স্থানীয় ৭/৮ জন লোক দিয়ে টোল কালেকশনের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নির্ধারিত ফেরি ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা আদায় করার কথা নয়। বকশিশ বাণিজ্য হয়ে থাকলে অবশ্যই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।