মোঃ আমিরুল হক, রাজবাড়ী প্রতিনিধি :
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বড়হিজলী জুলফিকর ছিদ্দিকিয়া ওয়াজেদিয়া আলীম মাদরাসার অবৈধ পকেট কমিটি গঠনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বড়হিজলি আলিম মাদ্রাসার সামনে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হয়।
উক্ত মানববন্ধন শুরুর আগে এলাকাবাসী, ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকগণ মিছিল সহকারে এসে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে নবাবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম বাচ্চু অংশ নেন। এসময় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উক্ত মাদরাসার নবগঠিত কমিটির সদস্য মোঃ শাহজান আলী মোল্লা এবং মোঃ জিন্দার আলি মোল্লা, অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বালিয়াকান্দি সরকারি কলেজের প্রভাষক মোঃ রেজাউল ইসলাম, মোঃ আহমদ আলি মোল্লা, সুবহান মোল্লা,মাজেদ আলী মোল্লা, বালিয়াকান্দি উপজেলা ছাত্রদল নেতা শাহজান মোল্লা, নবাবপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান মোল্লা, নবাবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, নবাবপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রিংকু মোল্লা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মাদ্রাসার সুপার সুপরিকল্পিত ভাবে নিজেরমত করে এবং মাদরাসার ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকদের না জানিয়ে গোপনে গত ২০ আগষ্ট ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি পকেট কমিটি গঠন করেন। এবং উক্ত পকেট কমিটি চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে প্রেরণ করে যা গত ২ সেপ্টেম্বর মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড চুড়ান্ত ভাবে অনুমোদন দেন। নবগঠিত কমিটির সদস্য মোঃ শাহজাহান আলী মোল্লা বলেন, কমিটি গঠনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না, একদিন মাদরাসার এক শিক্ষক মিথ্যা কথা বলে আমার স্বাক্ষর নিয়ে আসেন এবং পরে জানতে পারলাম আমাকে সদস্য করা হয়েছে। তারপর মাদরাসা কর্তৃপক্ষ আমার সাথে আর যোগাযোগ করেননি। কমিটির অন্য সদস্য জিন্দার আলীও একই অভিযোগ করেন। বক্তারা আরও বলেন, সুপার সাহেব ভোটার তালিকা, নির্বাচনী তফসীল কিছুই প্রকাশ করেননি। অর্থ্যাৎ এই অবৈধ পকেট কমিটি আমরা মানি না। তারা বলেন এই অবৈধ পকেট কমিটি বাতিল করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন করতে বাধ্য হবো।
উপরোক্ত বিষয়ে মাদরাসার সুপারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকল নিয়ম মেনেই কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন বা কমিটি গঠনের বিষয়ে কোন রেজুলেশন করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেজুলেশন আছে তবে এখন আমার কাছে নেই। তাহলে কার নিকট আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষক আঃ আওয়াল সাহেবের নিকট আছে। তাৎক্ষণিক মাদরাসায় আওয়াল মাষ্টারকে খুজে পাওয়া যায়নি।