নিজস্ব প্রতিনিধি:
দীর্ঘ ৪০ ঘণ্টা অপেক্ষার পর অবশেষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ করে ফল ঘোষণা শুরু হয়েছে। শনিবার বিকেল ৫টার পর রিটার্নিং কর্মকর্তারা ফল ঘোষণা শুরু করেন।
প্রকাশিত ফল অনুযায়ী শহীদ রফিক-জব্বার হলে ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন মেহেদি হাসান, জিএস শরিফুল ইসলাম ও এজিএস আরিফুল ইসলাম। ২১ নং (ছাত্র) হলে ভিপি হয়েছেন ইবনে শিহাব, জিএস ওলিউল্লাহ মাহাদী ও এজিএস তুষার আহমেদ। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন রাকিবুল ইসলাম, জিএস আলী আহমেদ ও এজিএস সামিন ইয়াসির। আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলে ভিপি হয়েছেন জিএমএম রায়হান কবীর, জিএস আবরার শাহরিয়ার এবং এজিএস রিপন মন্ডল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
মীর মশাররফ হোসেন হলে ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন খালেদ জুবায়ের, জিএস শাহরিয়ার নাজিম ও এজিএস আরাফাত হোসেন। মওলানা ভাসানী হলে ভিপি আবদুল হাই স্বপন, জিএস হৃদয় পোদ্দার ও এজিএস রাকিব হাসান নির্বাচিত হয়েছেন। শহীদ সালাম-বরকত হলে ভিপি হয়েছেন মারুফ হোসেন, জিএস মাসুদ রানা ও এজিএস আবরার আজিম ভুঁইয়া। আলবেরুনী হলে ভিপি রিফাত আহমেদ শাকিল, জিএস মুনতাসির বিল্লাহ খান ও এজিএস সাদমান হাসান খান।
নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ভিপি বুবলী আহমেদ ও জিএস সুমাইয়া খানম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, তবে এজিএস পদে কোনো প্রার্থী ছিল না। ১০ নং (ছাত্র) হলে ভিপি হয়েছেন আসিফ মিয়া, জিএস মেহেদী হাসান ও এজিএস নাদিম মাহমুদ। ১৫ নং (ছাত্রী) হলে ভিপি শারমীন খাতুন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, জিএস মেহনাজ মোহনা ও এজিএস শাহানা আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হয় জাকসুর ভোটগ্রহণ। ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ শেষে ব্যালট বাক্স সিনেট হলে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানে প্রায় ৪০ ঘণ্টা ধরে গণনা চলে। এবারের নির্বাচনে ১১ হাজার ৮৯৭ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ৬৭ থেকে ৬৮ শতাংশ ভোট দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৭৭ জন প্রার্থী।
এবারের নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্যানেলের মধ্যে ছিল গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’, ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’, ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল, বামপন্থিদের তিনটি এবং স্বতন্ত্রদের দুটি প্যানেল। ইসলামী ছাত্রশিবির সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করে। তাদের প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ছিলেন আরিফুল্লাহ আদিব ও জিএস প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম। বাগছাস ঘোষিত ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’-এর ভিপি প্রার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল এবং জিএস প্রার্থী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মো. শেখ সাদী হাসান এবং জিএস পদে ছিলেন একমাত্র নারী প্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী। বামপন্থিদের মধ্যে ‘সম্প্রীতির ঐক্য’, ‘সংশপ্তক পর্ষদ’ এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আংশিক প্যানেল নির্বাচনে অংশ নেয়। এছাড়া স্বতন্ত্রদের মধ্যে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’ ও ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’ প্যানেল নির্বাচন করে।