মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
শুক্রবার ১২সেপ্টেম্বর ২৫ ইং ভোর ৬ টায় কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার ২২ নং টনকী ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ডে টনকী এলাকার একটি জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আমিনুল ইসলাম (চৈনপুর)কে মসজিদে প্রবেশ করে ইউপি সদস্যের হাতে গলা টিপে হত্যা চেষ্টার সংবাদ পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর ) রাতে বাঙ্গরা বাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার হাফেজ মাওলানা আমিনুল ইসলাম । নির্যাতনকারীরা হলেন ২২ নং টংকী ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ডের মোঃ জাহাঙ্গীর মেম্বার, মোঃ আলমগীর হোসাইন মেম্বার ও ইউনুস নাম্বার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মাওলানা আমিনুল ইসলাম দীর্ঘ আট বছর যাবত অত্র মসজিদে অত্যন্ত সুনাম ও সুখ্যাতির সাথে ইমামতির দায়িত্বে রয়েছেন। পারিবারিক একটি ঈস্যুকে টেনে পূর্ব শত্রুতা জেরে জাহাঙ্গীর মেম্বার, আলমগীর মেম্বার ও ইউনুস মেম্বার মিলে তার উপর অমানবিক আক্রমণ করে গলা টিপে হত্র চেষ্টা করলে স্থানীয়দের হাতে রক্ষা পান তিনি। এছাড়াও এর আগে কয়েকবার ইমাম সাহেবকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন তারা। মসজিদের ইমাম মাওলানা আমিনুল ইসলাম একজন ওপেন সার্জারি রোগী । এবং তার মা গত ১৫ দিন আগে ইহকাল ত্যাগ করেন। এমন অমানবিক নির্যাতনের পরও নির্যাতনকারীরা সমাজের প্রভাবশালী পরিবারের হিসেবে এ ব্যাপারে সমাজের কেউ আতঙ্কে মুখ খুলতে পারছেনা।
সংবাদ পেয়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ,মুরাদনগর উপজেলা শাখা’র সভাপতি মাওলানা মাহবুবুর রহমান ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মসজিদের ইমাম মাওলানা আমিনুল ইসলামকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণকারী সকল আসামিদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দ্রুত শাস্তির দাবি জানান।
এছাড়াও মাওলানা মাহবুবুর রহমান বলেন মসজিদের ইমাম সাহেবগণ হলেন সমাজের নেতা এবং সবচেয়ে বেশী মর্যাদার অধিকারী। একজন ইমামের উপর আক্রমণ করার অর্থ হলো পুরো সমাজের উপর আক্রমণ করা । একজন ইমামের উপর আক্রমণকারী কখনোই রেহাই পাবে না ।তাদেরকে অবশ্যই গ্রেফতার করে উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করতে হবে ।যদি অপরাধীদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা না হয় তাহলে প্রয়োজনে উপজেলার ওলামায়ে কেরাম তাওহীদি জনতাকে সাথে নিয়ে রাজপথে নেমে পড়তে বাধ্য হবে। পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটলে এর দায়ভার সম্পূর্ণ সরকার ও প্রশাসনকেই বহন করতে হবে।
অন্যদিকে সংবাদটি পাওয়ার সাথে সাথে মুরাদনগর উপজেলা ইমাম ও খতিব ঐক্য পরিষদের সেক্রেটারি মুক্তি ফরহাদ হোসাইন এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নির্যাতিত ইমাম মাওলানা আমিনুল ইসলাম এর সাথে সাক্ষাৎ শেষে বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহফুজুর রহমান কক স সহ সসএর সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং ইমাম সাহেবকে নির্যাতনকারীদেরকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানান।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহফুজুর রহমান তাৎক্ষণিক এলাকার অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে খুঁজে পাননি বলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।