১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

চবি’র ফারসি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মানা হচ্ছে না নীতিমালা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মানা হচ্ছে না নীতিমালা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী অনুযায়ী, বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির অনুমোদনের পর শূণ্যপদের বিপরীতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার নীতিমালা থাকলেও চলতি বছরের ১৯ মে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির অনুমোদন ছিল না বলে জানা গেছে। বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির চাহিদা না থাকা সত্বেও কর্তৃপক্ষের তড়িঘড়ি করে এমন স্বপ্রণোদিত হয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ সন্দেহজনক বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।

আগামীকাল (মঙ্গলবার) এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সিলেকশন বোর্ডে (শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড) চবি ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের কোন শিক্ষককে না রাখার কারণেও ক্ষোভ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকরা।

তারা বলেন, নিয়োগ হবে ফারসি বিভাগে। কিন্তু এ বিভাগ থেকে কোন শিক্ষককে নিয়োগ বোর্ডে রাখা হয়নি। এটি খুবই দুঃখজনক এবং স্বচ্চ নিয়োগ প্রক্রিয়ার অন্তরায়।

রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সিলেকশন বোর্ড সদস্য হিসাবে রাখা হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ফারসি বিভাগের অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন ও চবি আরবি বিভাগের অধ্যাপক মমতাজউদ্দিন আল-কাদেরী।

বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির অনুমোদন ব্যতিরেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও সিলেকশন বোর্ডে বিভাগের শিক্ষক না রাখার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি অস্বচ্ছতার দিকে ইঙ্গিত করে বলে মনে করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জৈষ্ঠ্য অধ্যাপক। ২০২২ সালে এ নিয়োগের অর্থ লেনদেনের অডিও ফাঁস হয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিভিয়ায়। উপাচার্য শিরীণ আখতারের পিএস সহ আরেকজন কর্মচারী নিয়োগ প্রার্থীদের সঙ্গে টাকা লেনদেনের বিষয়ে আলাপ করলে, সেসব ফোনকল বিভিন্ন মিডিয়ার প্রকাশিত হয় এবং উপাচার্য শিরীণ আখতারের নামও সেসব আলাপে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে এ নিয়োগটি সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে বাতিল করা হয়। বর্তমানেও পূর্বের অর্থ লেনদেনকারী প্রার্থীরা সক্রিয় আছেন বলেন মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আলতাফ হোসেন বলেন, নিয়োগ বোর্ডে বিভাগের কোন শিক্ষককে রাখা হয়নি। বাহিরের শিক্ষকদের রাখা হয়েছে বলে জেনেছি। এরবাইরে কিছু বলতে পারবো না।

ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি অধ্যাপক মো. আবুল হাশেম বলেন, বোর্ডে অভিজ্ঞ শিক্ষক থাকা নীতিসংগত। কিন্তু আমাদের বিভাগে যে নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হয়েছে সেখানে বিভাগের কাউকে রাখা হয়নি বলে শুনেছি।

বিভাগের অধ্যাপক ড. নূরে আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top