নিজস্ব প্রতিনিধি:
ঢাকাই সিনেমার নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় নায়িকা বনশ্রী আর নেই। আজ (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য সনি রহমান।
সনি রহমান জানান, বনশ্রী দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা সহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুর আগে টানা পাঁচ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুর পর বাদ আসর তাকে শিবচর পৌরসভা গোরস্থানে দাফন করা হবে।
বনশ্রীর জন্ম মাদবরের চর ইউনিয়নের শিকদারকান্দি গ্রামে। বাবা মজিবুর রহমান মজনু শিকদার ও মা সবুরজান রিনার তিন সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। সাত বছর বয়সে পরিবারসহ ঢাকায় চলে আসেন।
১৯৮৪ সালে ‘সোহরাব রুস্তম’ সিনেমার মাধ্যমে বনশ্রীর চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের বিপরীতে তার অভিনীত এই সিনেমা ব্যবসা সফল হয় এবং তিনি রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। পরবর্তীতে মান্না, আমিন খান, রুবেলসহ শীর্ষ নায়কদের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি।
তবে ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে তার অভিনয়জীবন ব্যাহত হয়। চলচ্চিত্র থেকে ছিটকে পড়ার পর একে একে হারাতে থাকেন সম্পদ ও স্থিতি। একসময় বাধ্য হয়ে বস্তিতে বসবাস শুরু করেন। জীবনের নানা চড়াই-উতরাইয়ের মাঝে ছিনতাই হয়ে যায় তার মেয়ে শ্রাবন্তীকে, অর্থকষ্টে ছোট ছেলেকে পাঠাতে হয় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সংস্থায়।
পরবর্তীতে তিনি ফিরে আসেন নিজ গ্রামে মাদারীপুরের শিবচরে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে ছেলে মেহেদী হাসান রোমিওকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ২০ লাখ টাকার অনুদানের সুদেই চলছিল তার সংসার।