মো. সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীর ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসী ঝাড়ু মিছিল করেছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কাজীপাড়া থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে হৃদয়ে স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, ওসি আরিফুল ইসলাম এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান হিল্লোল এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে সহযোগিতার পরিবর্তে হুমকি দেন। কুখ্যাত মাদক সম্রাজ্ঞী রুপার পক্ষ নিয়ে সাংবাদিককে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন বলেও অভিযোগ করেন বক্তারা।
তাঁরা আরও বলেন, ওসি মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কমিশন গ্রহণ, টাকা নিয়ে মামলা রেজিস্ট্রেশন এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন। এসব অভিযোগ তুলে বক্তারা তাঁকে অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তব্য দেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান হিল্লোল, সাংবাদিক আবু ফাত্তাহ কামাল পাখি, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ডোমার উপজেলা সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ আইয়ুব, জামায়াত নেতা মো. সোহেল রানা, তুহিন ইসলামসহ স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সাংবাদিক আসাদুজ্জামান হিল্লোল বলেন, “আমি মাদকের বিষয়টি ওসিকে অবহিত করলে তিনি সহযোগিতা না করে উল্টো আমাকে হুমকি দেন। প্রশাসনের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ হতাশাজনক।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, “সাংবাদিক হিল্লোলের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। দুই দিন আগে রাতে স্থানীয়রা মাদক ব্যবসায়ী রুপার বাড়ি ঘেরাও করে আগুন লাগানোর চেষ্টা করছিল। আমি তাঁকে বলেছিলাম—এভাবে মব তৈরি করে বিশৃঙ্খলা হলে এর দায় নিতে হবে। আমার ওই মন্তব্যকেই ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে তিনি লোকজন নিয়ে মিছিল করেছেন। সমস্যা নেই, তিনি তাঁর কাজ করেছেন, আমি আমার দায়িত্ব পালন করে যাবো।”
এদিকে, ডোমার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবার চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসনকে বারবার অবহিত করা হলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং তাঁর অপসারণ দাবিতে এলাকাবাসীর আন্দোলন নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।