মাহফুজুর রহমান, উজিরপুর বরিশাল প্রতিবেদক:
উজিরপুরে অবধূত সংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রীমৎ ১০৮স্বামী দয়ানন্দ অবধূত গুরু মহারাজের ৭২ তম মহাপ্রয়ান অনুষ্ঠানে বিএনপি ও জামায়াতে নেতারা বলেন – ধর্ম যার যার বাংলাদেশ সবার। উজিরপুর পৌর সদরের শেরে বাংলা বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন দয়ানন্দ গুরু মহারাজের উজিরপুরস্থ উকিলবাড়ি সমাধী মন্দিরে শিষ্য ভক্ত,বিভিন্ন রাজনৈতিক ও প্রশাসনের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।
অবধূত সংঘের আয়োজনে ২৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ২ টা ৩০ মিনিটে শিশির কুমার বক্ষ্ম সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহামুদ জুয়েল, জামায়াতে ইসলামের বরিশাল জেলা নায়েবে আমীর বরিশাল-২ আসনের জামায়াতে মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মান্নান মাস্টার, উজিরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম খান, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সর্দার সিদ্দিকুর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ রোকনুজ্জামান টুলু, ছাত্রদল নেতা এইচ এম সুমন, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান সরদার, সদস্য সচিব মুরাদ রনি, সাবেক ছাত্রদল নেতা ও যুবদল নেতা মাকসুদুর রহমান সুমন ও প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কে শুভেচ্ছা জানান, উজিরপুর উপজেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজা তিনি বলেন বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ও মুসলমান সবাই সমান। কেহ কারো করুনায় বাস করেন না। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সবাই তাদের পৈতৃক সম্পত্তিতে জন্মসূত্রে বসবাস করতেছেন।
তাই শারদীয় দুর্গাপূজাকে আরো উৎসবমুখর ও নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় নিশ্চিত রাখার জন্য প্রত্যেকটা দুর্গা মন্দিরে আইপি ও সিসি ক্যামেরা স্থাপনের অনুরোধ জানান।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহামুদ জুয়েল বলেন, ধর্ম যার যার বাংলাদেশ সবার। সনাতন ধর্মাবলম্বী হওয়ার কারণে কোন নির্যাতনের শিকার হলে, বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদী দল বিএনপি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিবেন।
কোন সনাতন ধর্মাবলম্বীকে সংখ্যালঘূ মনে করলে চলবে না কারণ আমরা সবাই এই দেশের জন্ম গ্রহণ করেছি, ওয়ারিশ সূত্রে এই দেশের জমি জমার মালিক, কারো দয়ায় আপনারা বাস করেন না। কেউ যদি আপনাদের ধর্মীয় কারণে নির্যাতন করে তার প্রতিবাদ আমরা করব। আপনাদের দায়িত্ব বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র।
জামায়ায়ে ইসলামের বরিশাল জেলা নায়েবে আমীর আব্দুল মান্নান মাস্টার বলেন, এ দেশে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ও মুসলমানদের কারো সাথে কোন ভেদাভেদ নেই। কখনো ছিল না, একটা মহল তাদের নিজেদের রাজনৈতিক প্রভাব ও অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু তকমা দিয়ে জাতিকে বিভাজিত করে রেখেছিল। আজ আমরা এই সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সবাই বাংলাদেশী। তাই সকল নাগরিকের সমান অধিকার। এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ও মুসলমানদের সমান অধিকার বাস্তবায়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বদ্ধপরিকর।