মোঃ আমিরুল হক, রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১০টি পরিবারের ঘর ভস্মিভূত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজবাড়ী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি অ্যাড. মোঃ আসলাম মিয়া।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের তেনাপচা ১নং আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৭ নম্বর শেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত।
ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, অন্তত ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
বুধবার (০১ অক্টোবর) দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া শেডের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অনেকে পোড়া জিনিসপত্র খুঁজছিলেন। কেউ আহাজারি করছিলেন, কেউবা শেষ সম্বল হারিয়ে হতাশায় ভুগছিলেন।
ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা ফুলচাঁদ সরদার বলেন, রাত তিনটার দিকে আগুনের উত্তাপে ঘুম ভেঙে যায়। কোনো কিছু বের করতে পারিনি। আমার সব শেষ হয়ে গেছে।
আরেক বাসিন্দা সাবানা খাতুন বলেন, আমার একমাত্র ছেলে বিদেশ যাওয়ার জন্য আমি ৩০ বছর ধরে মানুষের বাড়ী বাড়ী কাজ করে জমানো প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার সহ সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন আমি নিঃস্ব।
খবর পেয়ে বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি ও রাজবাড়ী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. আসলাম মিয়া ক্ষতিগ্রস্ত ১০ পরিবারের মধ্যে চাউল, কাপড়, শুকনো খাবার ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এ সময় তার স্ত্রী ইস্পাহানি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন ১০টি পরিবারের হাতে ১টি করে বস্ত্র তুলে দেন।
কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি ও রাজবাড়ী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. আসলাম মিয়া বলেন, বিএনপি তৃনমূল খেয়ে খাওয়া মানুষের পাশে সব সময় থাকে। আমি ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে ভালো লাগছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, শুধু মিটিং, মিছিল করলেই হবে না। তৃনমূল মানুষের কাছে যেতে হবে। আমি আগেও মানুষের সাথে ছিলাম, এখনও আছি।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাহিদুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে এবং ত্রাণ সহায়তার জন্য তালিকা জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।