৩রা অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বৃষ্টির অজুহাতে ফের বাড়ল সবজি, তেল ও ডালের দাম

নিজস্ব প্রতিনিধি:

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে রাজধানীর খুচরা বাজারে আবারও বেড়েছে সবজির দাম। কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন সবজির কেজিপ্রতি দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে বাজারে সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও ব্যবসায়ীরা বৃষ্টির কারণে পরিবহন ব্যয় ও সরবরাহ সংকটের অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছে। একইসঙ্গে বাড়ানো হয়েছে ভোজ্যতেল ও মসুর ডালের দামও। মাছ-মাংসের দাম তো আগে থেকেই ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বরবটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। ঢ্যাঁড়শ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে, আগে ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা। ঝিঙার দাম বেড়ে হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, যা আগে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হতো। একটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, যা আগে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এছাড়া সিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, উস্তা ১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া কচুমুখী ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, পটোল ৮০ টাকা, মুলা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ও জালি কুমড়া প্রতি পিস ৫০ টাকা, আর আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩০ টাকায়।

বৃষ্টির কারণে দাম বাড়ানোর অভিযোগ করে ক্রেতারা বলছেন, বাজারে সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও ব্যবসায়ীরা অযথা দাম বাড়াচ্ছে। তবে বিক্রেতাদের দাবি, আড়ত পর্যায়ে দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদেরও বাড়তি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।

এদিকে খুচরা বাজারে ভোজ্যতেলের দামও বেড়েছে। দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৩৮৫ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩৭৫ থেকে ৩৮০ টাকা। পাম তেলের দাম বেড়ে লিটারপ্রতি হয়েছে ১৬৮ টাকা, আগে ছিল ১৬৫ টাকা। মাঝারি দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়, যা আগে ছিল ১১০ টাকা। ছোট দানার ডালের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, যা এক মাস আগেও ছিল ১৪০ টাকা। বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়।

মাছ-মাংসের দামও অস্বাভাবিকভাবে বাড়তি। ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৭০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়, আগে ছিল ২৬০ টাকা। গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একটি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

ইলিশের দামও চড়া। মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৩০০ থেকে ২৫০০ টাকায়। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকায়। ছোট আকারের ইলিশ মিলছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়। এছাড়া রুই ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, পাঙাশ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, টেংরা ৮০০ টাকা এবং চিংড়ি কেজিপ্রতি ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দ্রব্যমূল্যের এ ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতারা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়লেও বাজার নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top