জাকির হোসেন হাওলাদার, দুমকি(পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
লেবুখালী ব্রিজ টোল প্লাজার সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন মোঃ মোশাররফ হোসেন দুলাল মাদবর (৬৮)। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, বিতর্কিত জমি তার ভগ্নিপতি ও বেয়াইদের দীর্ঘদিনের পৈত্রিক সম্পত্তি হলেও প্রভাবশালী কয়েকজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অন্যায়ভাবে নিজেদের নামে বি.এস রেকর্ড করিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুলাল মাদবর লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, তিনি চার দশকের বেশি সময় আমেরিকাসহ বিদেশে অবস্থান করেছেন এবং রপ্তানি গার্মেন্টস ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। জীবনে কোনো অপরাধে জড়িত হননি। তার ভাষায়, প্রকৃত মালিক তার আত্মীয়রা হলেও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে তারা নিজেদের নামে রেকর্ড করতে পারেননি।। তিনি অভিযোগ করেন, দুমকি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আকন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান প্রয়াত শাহআলম আকন ও বর্তমান চেয়ারম্যান তুহিন আকনসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা প্রভাব খাটিয়ে জমি আত্মসাৎ করেন।
তিনি আরো বলেন, মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা আসলে প্রভাবশালী মহলের হাতের পুতুল। তাদের কারও প্রকৃত মালিকানা নেই। জাল দলিল ও ভুয়া রায়ের মাধ্যমে রুহুল আমিন ও সফেজ কারিকর নামের দুই ব্যক্তি প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় সাড়ে পাঁচ একর জমি রেকর্ড করান। এই জমির জন্য ঘোষিত এওয়ার্ডের পরিমাণ প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ টাকা হলেও তাদের মালিকানায় এক শতাংশ জমিও নেই।
তিনি জানান, এ বিষয়ে জেলা জজ আদালতে দুটি ল্যান্ড সার্ভে মামলা, ফৌজদারী আদালতে একটি জাল দলিল মামলা এবং ডিসি অফিসের এল.এ শাখায় পাঁচটি আপত্তি মামলা চলছে। অর্থাৎ মোট আটটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। সংশ্লিষ্ট তফসিল অনুযায়ী, লেবুখালী মৌজার জে.এল নং ২২ এর বিভিন্ন খতিয়ান ও দাগে প্রায় ৩.৫০ একর জমি রয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকটি দলিল রয়েছে যেখানে সফেজ করিকরের পিতা হাছন করিকর দাতা এবং গ্রহীতা হিসেবে তার আত্মীয়রা ছিলেন। বয়সজনিত অসুস্থতার কারণে তারা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিয়ে দুলাল মাদবরকে আইনি পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেন।
প্রতিপক্ষের উদ্দেশে তিনি বলেন, কোনো সিভিল উকিল বা ব্যারিস্টার যদি প্রমাণ করতে পারেন যে উক্ত জমিতে তাদের প্রকৃত মালিকানা রয়েছে, তবে তিনি আত্মীয়দের পক্ষ থেকে মামলা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করবেন। অন্যথায় সমাজের রায়কেই মেনে নেবেন।
নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি কেবল আত্মীয়দের পক্ষে ন্যায়বিচারের জন্য কাজ করছেন। বক্তব্যের শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব দুলাল মাদবরের ভগ্নিপতি মোঃ মশিউর রহমান এবং ভাগিনা মোঃ মাশফিকুর রহমান।