মো. মাহিন খান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা কর্মসূচি প্রচারে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেছেন ঝালকাঠি–১ (রাজাপুর–কাঁঠালিয়া) আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা গোলাম আজম সৈকত।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া ও মঠবাড়ি ইউনিয়নের উত্তমপুর বাজার, কাচারিবাড়ি বাজার, চুনপুরী বাজার, বদনীকাঠি বাজার ও বাঘরি বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় তিনি দোকানদার, স্কুলের শিক্ষার্থী ও পথচারীদের হাতে লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় তিনি বিএনপির প্রতীক ‘ধানের শীষ’-এ ভোট প্রার্থনা করেন।
গণসংযোগকালে গোলাম আজম সৈকত বলেন, “গত ১৬ বছরে দেশে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ ছিল না। এবার আমরা আশাবাদী, জনগণ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিনিধি বেছে নিতে পারবে। আমরা সেই পরিবেশ তৈরির জন্য মাঠে নেমেছি।”
তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচির বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই বর্তমান রাষ্ট্রীয় সংকটের সমাধান সম্ভব। এই কর্মসূচিতে গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক শাসন প্রতিষ্ঠার রূপরেখা রয়েছে।”
গোলাম আজম সৈকত বলেন, “আমরা দীর্ঘ আন্দোলন–সংগ্রাম করে এদেশকে স্বৈরাচার ও দুঃশাসন থেকে মুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অসংখ্য নেতাকর্মী গুম, হত্যা ও মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি হয়েছেন। তবুও আমরা দমে যাইনি। এখন সময় এসেছে দেশ পুনর্গঠনের, দুর্নীতি–অবিচার ও দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার।”
তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত—আমি এসেছি শুধু ভোট চাইতে নয়, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে।”
শেষে গোলাম আজম সৈকত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া প্রার্থনা করেন এবং তাঁদের পক্ষ থেকে উপস্থিত নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে সালাম জানান।
এ সময় উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিকদলসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং রাষ্ট্র সংস্কার কর্মসূচির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচিতে রয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, প্রশাসনের দলীয় প্রভাবমুক্তকরণ, দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি।