নিজস্ব প্রতিনিধি:
ইসরাইলের কারাগারে আটক বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে মুক্ত করতে তুরস্কের সহায়তায় কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে। তুর্কি কর্তৃপক্ষ আশাবাদী যে, আজই বিশেষ বিমানে করে তাকে আঙ্কারায় নিয়ে যাওয়া হতে পারে। তবে বিষয়টি নিয়ে তারা এখনো শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার রাতে আঙ্কারায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আমানুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আজ শুক্রবার সকালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও শহিদুল আলমের মুক্তি প্রচেষ্টার খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত আমানুল হক জানান, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের হাতে শহিদুল আলমের অবৈধ আটক ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ সরকার দ্রুত কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়। জর্ডান, মিশর ও তুরস্কে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে সংশ্লিষ্ট দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করে তার মুক্তির ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এসব দূতাবাস বর্তমানে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে।
শহিদুল আলম দৃক-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি ফিলিস্তিনে ইসরাইলের নৃশংসতা বন্ধ এবং গাজায় ইসরাইলি নৌ অবরোধ ভাঙার লক্ষ্যে গঠিত ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’-এর নৌযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন। গাজামুখী এই নৌবহরে আরও ছিল ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা’ নামে একটি উদ্যোগের আটটি নৌযান।
মোট নয়টি নৌযানের এই অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও মানবাধিকার কর্মীরা। শহিদুল আলমও ছিলেন সেই দলে। গত বুধবার গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রাকালে ইসরাইলি সেনারা ওই নৌবহরে হামলা চালায় এবং সব অধিকারকর্মী ও নাবিককে আটক করে নিয়ে যায়।
শহিদুল আলমের নিরাপদ মুক্তি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।