মো. সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীতে মোস্তাফিজার রহমান (৩০) নামে এক গরু ব্যবসায়ীর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ উপজেলার উত্তর বড়ভিটা ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের একটি বাঁশঝাড় সংলগ্ন গাছ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মোস্তাফিজার রহমান ওই এলাকার ইসলাম উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় গরু ব্যবসায়ী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এলাকাবাসী বাঁশঝাড়ের পাশে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় এক ব্যক্তির মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের ভাই মাইনুল ইসলাম বলেন, “আমার ভাই একই গ্রামের আব্দুল্লাহর ছেলে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে কিছু জমি ক্রয় করে। পরবর্তীতে সেই জমি অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে বিষয়টি নিয়ে গ্রামে সালিশ বসে। পরে রাতে মেলাবর রোডে গ্রামীণ ব্যাংকের পাশে একটি দোকানে কয়েকজন সিদ্ধান্ত দেয় যে, আমার ভাইকে ৫৫ শতক জমি ফেরত দিতে হবে এবং ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে আব্দুল্লাহর বড় ছেলে ওমর ফারুককে। এরপর রাত ১টার দিকে ভাই বাড়ি ফিরে ঘুমাতে যায়। ভোরে জানতে পারি, গাছের সঙ্গে তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া গেছে। এটি আত্মহত্যা নয়, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।”
এলাকায় এ ঘটনার পর চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অনেকে বলছেন, মোস্তাফিজার রহমানের মৃত্যু রহস্যজনক এবং ঘটনার পেছনে পূর্ববিরোধই মূল কারণ হতে পারে।
কিশোরগঞ্জ থানার তদন্ত ওসি (তদন্ত) আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি হত্যাকাণ্ড হতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থল থেকে কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হতে পারে।
এদিকে, পরিবারের সদস্যরা মোস্তাফিজারের হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।