আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নোবেল শান্তি পুরস্কার থেকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বাদ দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউজ। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) নরওয়ের অসলোতে ঘোষণায় জানা যায়, ২০২৫ সালের শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো।
পুরস্কার ঘোষণার পরপরই হোয়াইট হাউজের যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক স্টিভেন চিউং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে নোবেল কমিটির সমালোচনা করেন। তিনি লেখেন, “নোবেল কমিটি আবারও প্রমাণ করল, তারা শান্তির চেয়ে রাজনীতিকে বেশি গুরুত্ব দেয়।”
তিনি আরও বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তিচুক্তি সম্পাদন, যুদ্ধের অবসান এবং জীবন বাঁচানোর কাজ অব্যাহত রাখবেন। তার হৃদয় একজন মানবতাবাদীর মতো, এবং এমন কেউ নেই যিনি শুধু নিজের ইচ্ছাশক্তি দিয়ে পাহাড় সরাতে পারেন।”
দ্বিতীয় মেয়াদে জানুয়ারি থেকে হোয়াইট হাউজে ফেরার পর থেকেই ট্রাম্প দাবি করে আসছেন যে, তিনি বিশ্বজুড়ে একাধিক সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে নোবেল পাওয়ার যোগ্য হয়েছেন। তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই দাবি অনেকটাই অতিরঞ্জিত।
নোবেল ঘোষণার আগের দিনও ট্রাম্প বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এটিকে তিনি নিজের ‘অষ্টম যুদ্ধের অবসান’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তবে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) তিনি আরও বলেন, “তারা যা-ই করুক, আমার তাতে কিছু আসে যায় না। আমি এটা পুরস্কারের জন্য করিনি; করেছি কারণ এতে অনেক মানুষের জীবন বাঁচানো গেছে।”
অসলোভিত্তিক নোবেল পুরস্কার বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছিলেন, ট্রাম্পের নোবেল জয়ের সম্ভাবনা নেই। তাদের মতে, ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রতিষ্ঠাতা আলফ্রেড নোবেলের ১৮৯৫ সালের উইলে নির্ধারিত শান্তির আদর্শের পরিপন্থী।