নিজস্ব প্রতিনিধি:
শাপলা চত্বরের শহীদদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় সরকার ও যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর আব্দুল গনি রোডের ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শাপলা চত্বরে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞে শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, “শাপলা চত্বরে শহীদদের স্বীকৃতি দিতে এবং তাদের প্রতি সামান্য শ্রদ্ধা জানাতে পেরে আমরা গর্বিত। ৫ মে শাপলা চত্বরে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের নাম আমরা স্বর্ণাক্ষরে লিখে যেতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনে যারা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের নাম স্থায়ী অবকাঠামোতে সংরক্ষণ করা হবে। পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি নানাভাবে এই উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলবে, কিন্তু ইতিহাস বিকৃত করার যে চেষ্টা তারা করেছিল, তা কখনও সফল হবে না।”
নিজের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে আসিফ মাহমুদ বলেন, “২০১৩ সালের ৫ মে যখন এই নির্মম হত্যাযজ্ঞ ঘটে, তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। আমি তখন ক্লাস নাইনে পড়তাম। সেই দিনের ভয়াবহ দৃশ্য আজও আমার চোখে ভাসে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ সেই হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেছে, কিন্তু ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার ইতিহাস থেকে ঘটনাটি মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। এমনকি শহীদদের পরিবারগুলোও তাদের পরিচয় প্রকাশে ভয় পেত।”
আসিফ মাহমুদ বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাস গঠনে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ যেন তাদের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা ও সম্মান জানায়—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ ও ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞে নিহত ৭৭টি শহীদ পরিবারের প্রতিটিকে ৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয় এই অনুষ্ঠানে।