মোঃ আমিরুল হক, রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের মোহনপুর বিলের পানি বের করনার জন্য জোড়পুর্বক খাল খনন করেছে। এতে পাটবাড়ীয়া গ্রামের অর্ধ শতাধিক পরিবারের বাড়ী-ঘর ভাংচুর, বৈদ্যুতিক খুটি, ও যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে পাটবাড়ীয়া গ্রামের নারী-পুরুষ ৩ রাস্তা মোড়ে খাল খননের নামে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি, বাড়ী ভাংচুর ও ক্ষতি সাধনকারীদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
এসময় সাহিদুর রহমান, আইয়ুব আলী, নুর ইসলাম, বিপুল, বাবলু, জোৎস্না বেগম, কবরী বেগম সহ অনেকেই বলেন, ভান্ডারখোলা, বড় বাংলাট এলাকার পানি বের করার জন্য তাদের এলাকায় সরকারী খাল থাকলেও সেখানে মানুষ ভরাট করে দখল করেছে। সেই খাল খনন না করে ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে পাটবাড়ীয়া মৌজার নাল জমি কেটে খাল খনন করছে। এতে বিপুল, শরীফ, রেজোয়ান, নুর ইসলামের বাড়ী-ঘর ভাংচুর করাসহ অর্ধশতাধিক বাড়ীর চলাচল পথ কেটে বন্ধ করে দিয়েছে। প্রকাশ্যে দিবালোকে এসব কাজ করেছে। আমরা এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করি।
তারা বলেন, অভিযোগ দায়ের করেও কোন ফল হয়নি। গত বৃহস্পতিবার সহস্রাধিক মানুষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে পাটবাড়ীয়া গ্রামে এসে খান খননের নামে বাড়ী ঘর ভাংচুর করাসহ ভেকু দিয়ে যাতায়াতের পথ কেটে নষ্ট করে দেয়। বিভিন্ন স্থানে থাকা পাইপ তুলে নষ্ট করে।
তারা বলেন, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে না ঘটে এ জন্য পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্যরা ওই এলাকায় ঘটনাস্থলে আসেন। তারা অন্যায়কারীদের কিছু না বলেই ফিরে যান। এ খাল খননের নামে ভাংচুর ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করেছে গোলাম মোস্তফা রাজা, হারুন অর রশীদ, বিল্লাল হোসেন, জলিল মন্ডল, সামাদ আলী, হুমায়ুন, কাদের মন্ডল টিপু মোল্লা, জিয়াউল হক, রাজাসহ সহস্রাধিক মানুষ।
সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) দেব্রত সরকার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স নিয়ে যাই এবং তাদের সাথে কথা বলি। আলোচনার মাধ্যমে খাল পূনঃখননের কথা আমরা বলছি। তবে তারা খাল খনন অব্যাহত রাখে।