মোঃ নাঈম ইসলাম, গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বৃ-চাপিলা গ্রামে এক গৃহবধূ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছেন। এ ঘটনায় গতকাল স্বামীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিখোঁজ গৃহবধূর মা মোছাঃ শামসুন্নাহার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ গৃহবধূ সীমা খাতুন (২২) নাটোর সদর থানার পিরজীপাড়া গ্রামের মো. হারেজ আলীর মেয়ে। প্রায় ৩ বছর আগে পারিবারিকভাবে ‘সীমার’ বিয়ে হয় গুরুদাসপুর উপজেলার বৃচাপিলা গ্রামের মৃত নুরনবীর ছেলে মো. মুক্তার হোসেনের সঙ্গে। তাদের দেড় বছরের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। গত ১১ অক্টোবর সীমা খাতুন স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। নিখোঁজ সীমার মা মোছা. শামসুন্নাহার জানান, বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করত জামাই মুক্তার। গত ১০ অক্টোবর দশ হাজার টাকার দাবিতে মেয়েকে আমার বাড়িতে পাঠায়। আমার কাছে টাকা না থাকায় ১০ কেজি চাল ও ২০০ টাকা দিয়ে তাকে স্বামীর বাড়ি পাঠাই। এরপরের দিন ১১ অক্টোবর মুক্তার ফোন দিয়ে জানায় সীমাকে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পাওয়ায় আমি থানায় অভিযোগ করি।
তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে কোথায় গেছে, তা মুক্তার জানে। আমি তাকে ও তার দুই আত্মীয়কে সন্দেহ করছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ করছি আমার মেয়েকে উদ্ধার করা হোক।
অভিযুক্ত স্বামী মুক্তার হোসেন দাবি করেন, আমার স্ত্রী ১১ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ। আগে তার একটি পরকীয়া সম্পর্ক ছিল, হয়তো সে নিজে কোথাও চলে গেছে। আমি নিজেও তাকে খুঁজে পাচ্ছি না।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. দুলাল হোসেন বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।