জাকির হোসেন হাওলাদার, দুমকী ও পবিপ্রবি প্রতিনিধি :
বাংলাদেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার (গুচ্ছ) ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য সময়সূচি ও নেতৃত্ব নির্ধারণ হয়েছে । এবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার নেতৃত্বে থাকছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি)।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ভবনের কনফারেন্স রুমে গুচ্ছভুক্ত ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়—২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৭ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। ২৭ মার্চ: ‘সি’ ইউনিট (বিজ্ঞান অনুষদ), ৩ এপ্রিল: ‘বি’ ইউনিট (মানবিক অনুষদ), ১০ এপ্রিল: ‘এ’ ইউনিট (বাণিজ্য অনুষদ)।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকিব মো. নসরুল্লাহকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক (সভাপতি) এবং পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামকে সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে ইউজিসির সদস্য (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক ড. তানজিম উদ্দিন খান বলেন, “গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় সমন্বয়ের এক ইতিবাচক মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা চাই, ভবিষ্যতে আরও বিশ্ববিদ্যালয় এতে যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য একক পরীক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করুক।” বৈঠকে ইউজিসির সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলামসহ গুচ্ছভুক্ত সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপস্থিত ছিলেন।
পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বৈঠক শেষে বলেন, “গত বছরের মতো এবারও গুচ্ছভুক্ত ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।”তিনি আরও বলেন, “আজকের বৈঠকে আগের শিক্ষাবর্ষের সমাপ্তি ঘোষণা, আর্থিক হিসাব পর্যালোচনা এবং নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনসহ ভর্তি পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে। আবেদনপত্র গ্রহণের সময়সীমা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক সিদ্ধান্ত পরবর্তী বৈঠকে নির্ধারিত হবে।
শিক্ষার্থী–বান্ধব উদ্যোগ : গুচ্ছ পদ্ধতি চালুর পর থেকে দেশের উচ্চশিক্ষা খাতে ব্যয়সাশ্রয়, স্বচ্ছতা ও শিক্ষার্থীর মানসিক চাপ কমেছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। এবারের নেতৃত্বে থাকা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও পবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, যৌথ প্রয়াসে ভর্তি প্রক্রিয়াটি আরও গতিশীল, প্রযুক্তিনির্ভর ও শিক্ষার্থী–বান্ধব রূপ পাবে।